শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৮:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি রাসূল (সা.)-এর সীরাত থেকে শিক্ষা নিয়ে দৃঢ় শপথবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে—ড. রেজাউল করিম চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫ চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রাজনীতিবিদেরা অর্থনীতিবিদদের হুকুমের আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে চান: ফরাসউদ্দিন নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে যে স্ট্যান্ড নেয়া দরকার সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক হামাসের অভিযানে ১২ ইসরাইলি সেনা নিহত আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় গাজানীতির প্রতিবাদে বাইডেন প্রশাসনের ইহুদি কর্মকর্তার লিলির পদত্যাগ

দুপাশে সড়ক নেই, ১৬ বছর নিঃসঙ্গ ব্রিজ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বামৈ ইউনিয়নের নোয়াগাঁওয়ে নির্মিত হেলিকপ্টার ব্রিজের খরচের ৩০ লাখ টাকাই জলে গেছে। বর্ষায় হাওরা লের মানুষের নৌকা চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে তাই এখানে করা যাবে না কোনো সংযোগ সড়ক। আর সরকারি সম্পত্তি ভাঙাও যাবে না নানা জটিলতার কারণে। তাই কোনো কাজে না আসা ব্রিজটি এখন স্থানীয়দের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য অরনজিত দাস জাগো নিউজকে জানান, এখানে সংযোগ সড়ক করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ আশেপাশে কোনো রাস্তা নেই। তাই ব্রিজটি আমাদের গ্রামের মানুষের কোনো কাজে আসছে না। তবে যদি এখানে ব্রিজের দুপাশে সিঁড়ি দেওয়া যেতো তাহলে মানুষ পায়ে হেঁটে খালটি পার হতে পারতো। যদিও সিঁড়ি বেয়ে মানুষ এত উঁচুতে উঠানামা করবে কিনা সন্দেহ আছে। ব্রিজটির কারণে বর্ষায় পানি বেশি হলে নৌকা চলাচলে বিঘœ ঘটে।
বামৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন ফুরুখ জাগো নিউজকে বলেন, এ ব্রিজটি এখন ভাঙা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ এদিকে যদি মাটি দিয়ে রাস্তা করা হয় তবে বর্ষায় নৌকা চলাচল করতে অনেক সমস্যা হয়। ফলে গ্রামের মানুষও চাচ্ছে না এখানে মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করা হোক। আমরা কয়েকবার ওই স্থানটি গিয়ে দেখে এসেছি। এ ব্রিজটি ভাঙা ছাড়া এখানে আসলে কিছুই করার সুযোগ নেই।
লাখাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নূর জাগো নিউজকে জানান, ব্রিজটি আসলে ভাঙার কোনো উপায় নেই। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া এটি ভাঙা যাবে না। এখানে মানুষের চলাচলের উপযোগী করে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা যেতে পারে। তিনি বলেন, এ ব্রিজটিতে চলাচলের জন্য যে উচ্চতার রাস্তা দরকার তা করা যাবে না। এটির কোনো সুযোগও নেই। এখানে কোনো রাস্তা নেই। রাস্তা থাকলে হয়তো সেটি করা সম্ভব হতো। আর যেহেতু ব্রিজটি প্রায় ১৬ বছর পূর্বে করা হয়েছিল তখন তারা কোন বিবেচনায় এখানে রাস্তা ছাড়া ব্রিজ করেছিলেন তা আমার বোধগম্য নয়। হাওরের মাঝখানে এরকম একটি ব্রিজ আসলে মানুষের কোনো উপকারে আসে না।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com