উন্মুক্ত পাখির মতো পরীমণির জীবন। নিজের ইচ্ছে-আনন্দে চলতেন। যখন যা মনে হতো, সেটাই বলে ফেলতেন। তার আবেগী মনের নানা কাজ কখনও বাহবা পেয়েছে, কখনও খামখেয়ালিতে মাথা পেতে নিয়েছেন সমালোচনা। কিন্তু জীবনের গতিপথে পরিবর্তন আনেননি। সেই পরী এখন অনেকখানি পরিণত, অনেকটা চুপচাপ। এখন তার সমস্ত ভাবনা সংসার আর সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যকে ঘিরে। শোবিজকেন্দ্রিক আয়োজনে এখন তার হইহুল্লোড় দেখা যায় না। এসব পরিবর্তন প্রসঙ্গেই জানতে চাওয়া হয় নায়িকার কাছে। জবাবে পরীমণি বললেন, ‘আমি কি বদলে গেছি? আমার তো মনে হয় কোনও কিছু মাইনাস হয়নি, আরও প্লাস হয়েছে। মাতৃত্ব যোগ হয়েছে। মাতৃত্ব তো অনেক দারুণ কিছু। হইহুল্লোড় এখন আরও বেশি হচ্ছে। কারণ আমার সঙ্গে আমার বাচ্চা হইহুল্লোড় করছে।’ গত শুক্রবার (২৬ মে) মুক্তি পেয়েছে পরীমণি অভিনীত নতুন সিনেমা ‘মা’। ছবির প্রথম শো দেখার জন্য ছেলেকে নিয়ে ছুটে যান মিরপুরের সনি স্কয়ারে। সেখানেই মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। আর বলেন, ‘এই ছবিতে দেশ, যুদ্ধ, একজন মা, অনেক কিছুই আছে। সিনেমাটা আমার কাছে একেবারে নিজের বাচ্চার মতো। অন্তরের খুব কাছের। এতদিন এটা আমার, আমাদের ছিল। এখন আপনাদের (দর্শক) হাতে তুলে দিয়েছি। তাই এই সিনেমাটা আপনাদের।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের সনি স্কয়ার শাখায় প্রতিদিন ‘মা’ ছবির দুটি প্রদর্শনী হচ্ছে। প্রথম দিনের দুটি শো-ই হাউজফুল হয়েছে বলে জানালেন এর নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার। তার ভাষ্য, ‘ফারজানা ছবি আমাদের ছবির শিল্পী, তিনি আটটি টিকিটের জন্য কাউন্টারে গিয়েছিলেন, কিন্তু একটি সিটও ফাঁকা নেই। এই আনন্দ আমি কীভাবে প্রকাশ করবো, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। বাংলা চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আসুক, আমরা এটাই চাই।’
উল্লেখ্য, ‘মা’ ছবির গল্পটা মুক্তিযুদ্ধের সময়ের। মৃত ঘোষিত সাত মাস বয়সী এক সন্তানকে নিয়ে তার অসহায় মায়ের আবেগের গল্প। যেখানে যুদ্ধের নির্মমতার পাশাপাশি মা-সন্তানের অকৃত্রিম আবেগের চিত্র ফুটে উঠেছে। অরণ্যে পুলক (এপি)-এর ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, ফারজানা ছবি, সাজু খাদেম, রেবেনা করিম জুঁই, শিল্পী সরকার অপু, সেতু, লাবণ্য, শাহাদাত হোসেন।