বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::

আশুলিয়ায় আবাসিকে রাইস মিল ধোঁয়া ও ছাইয়ে অতিষ্ট এলাকাবাসী

শহিদুল্লাহ মুন্সী (আশুলিয়া) ঢাকা :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩

ঢাকার আশুলিয়ায় আবাসিক এলাকায় রাইস মিল গড়ে উঠায় এর ধোঁয়া ও ছাইয়ে অতিষ্ট এলাকাবাসি। সেই সাথে মারাত্মকভাবে নষ্ট করছে পরিবেশ। বিশেষ করে আবাসিক এলাকার জনগণ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উড়ন্ত ছাই এসে চোখেমুখে পড়ছে পথচারীদের। গাছ-গাছালি এবং আবাসিক এলাকার বসতবাড়ির চালায় ছাই পড়ে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আশুলিয়ার রাঙ্গামাটি ও গণকপাড়া এলাকায় আবাসিক এলাকার ভেতরে গড়ে উঠেছে রাইস মিল। রাইস মিল অটো থাকলেও এর ধোয়া ও ছাইয়ে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। রাইস মিল অনুমোদনের আগে ধোঁয়া ও ছাই সরানোর স্লাইক্লোন প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এখানকার মিল মালিক তা করেননি। যদিও করেছেন তাও আবার বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ে তা বন্ধ রাখছেন। বর্তমান ধান ক্রাশিংয়ের ভরা মৌসুমে এ অবস্থা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আশুলিয়ার শিমুলিয়াতেই রয়েছে দুটি রাইস মিল। এর মধ্যে একটি রাঙ্গামাটি এবং অন্যটি গণকপাড়া এলাকায়। রাঙ্গামাটি ও গণকপাড়া এলাকার রাইস মিলের ধোঁয়া ও ছাই অপসারণে নেই কোনো স্লাইক্লোন প্রযুক্তি। আবার ধোঁয়া ও ছাই অপসারণে সাইক্লোন প্রযুক্তির মেশিন থাকলেও বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করতে তারা মেশিনগুলো বন্ধ রাখছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণকপাড়া এলাকার কয়েকজন জানান, রাইস মিলের ধোঁয়া ও ছাই পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত করলেও পরিবেশ অধিদফতর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ছাই পড়ে বাড়ি ঘরের টিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন গাছ পালা, বাগান ও আঙিনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন কয়েকবার পরিষ্কার করলেও লাভ হচ্ছে না। ছাই পড়ে তাদের চোঁখ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চোখে ছাই পড়লে জ্বালাপুড়া করে। অসহ্য যন্ত্রণা হয়। কিন্তু কোন প্রতিকার নেই। তারা আরো জানান, গণকপাড়া এলাকার জসিম উদ্দিনের মালিকানাধীন রাইস মিলটি চলাচলের রাস্তা ঘেসেই করেছেন। লোড আনলোড করার সময় ওই রাস্তা দিয়ে গাড়িতো দূরের কথা একটা রিকশাও যেতে পারে না। এর থেকে পরিত্রাণ চান তারা। এদিকে, রাঙ্গামাটি এলাকার ইব্রাহিমের মালিকানাধীন রাইস মিলের ধোয়া ও ছাইয়ে অতিষ্ট এখানকার বসবাসরতরা। তারা ভয়ে কোন কিছু বলতে পারে না। প্রশাসবের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। এব্যাপারে পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (ঢাকা অঞ্চল) মুক্তাদির হাসান জানান, এ এলাকা আমি দেখিনা। আমিত বিভাগে কাজ করি। ওখানে অন্য কর্মকর্তা রয়েছেন। তার সাথে যোগাযোগ করেন। এছাড়া আমি নিজেও বিষয়টি দেখব। এব্যাপারে বক্তব্য নিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জহিরুল ইসলাম তালুকদারের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com