যখন হজযাত্রীরা সৌদি আরবে যাচ্ছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে হজ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান দুজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হলো। তবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানান, দুই কর্মকর্তাকে বদলির কারণে হজের কার্যক্রমে কোনো প্রভাবে পড়বে না। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত ২১ মে থেকে শুরু হয়েছে হজ ফ্লাইট। এরই মধ্যে ৫৭ হাজার ১২৭ জন হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। পুরোদমে চলছে হজের কার্যক্রম।
এর মধ্যে সোমবার (৫ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসানকে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন ধর্মসচিব নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সচিবালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার। যিনি আগে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে গত ৪ জুন হজ কার্যক্রমের ফোকাল পয়েন্ট ও উপসচিব (হজ) আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনকে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) পরিচালক নিয়োগ দিয়ে তার চাকরি শিল্প মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। এ মুহূর্তে প্রধান দুই কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার হজের কাজে প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জাগো নিউজকে বলেন, ‘কর্মকর্তারা বদলি হবেন, এটা তো প্রচলিত নিয়ম। তাই যা হওয়ার তাই হবে, কোনো সমস্যা হবে না। হজের কাজে কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না।’
ধর্ম মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ধর্মসচিব এনামুল হাসান কাজে মনোযোগী ছিলেন না। তিনি অনেক সময় মন্ত্রীর ফোনও ধরেন না। তাই হজসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজে সমন্বয়ের অভাব ছিল।
আর উপসচিব (হজ) আবুল কাশেম শাহীনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তাকে এর আগেও বদলি করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি তদবির করে থেকে যান। শাহীনের কর্মকা- ও ব্যবহারে মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা অসন্তুষ্ট। অভিযোগ আছে, উপসচিব শাহীনকে প্রশ্রয় দিতেন ধর্মসচিব।