রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ন

পলাশের ড্রাগন ফল চাষ অন্যদের আয়ের পথ দেখাচ্ছে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩

জেলার তিতাস উপজেলা একটি নিচু এলাকা। সচারাচর এ এলাকার কৃষকরা জমিতে ধানের পাশাপাশি কেউ কেউ সবজি চাষ করে থাকেন। কিন্তু ব্যতিক্রম মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন পলাশ। তিনি শখের বসে চাষ করছেন ড্রাগন ফল। তার এ ড্রাগন চাষে বর্তমানে আয়ের পথ দেখাচ্ছে অন্যদের। তার দেখাদেখি ড্রাগন ফল চাষ শুরু করছেন অনেকেই। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে ড্রাগনের চাষ পদ্ধতি জেনে নিচ্ছেন। সরেজমিনে মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন পলাশের বাগানে ঘুরে দেখা যায়, চারদিকে সবুজের সমারোহ। প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতার প্রতিটি কংক্রিটের খুঁটি পেঁচিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন ফলের গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলছে ৮ থেকে ১০টি করে কাঁচা, পাকা ও আধা পাকা ড্রাগন ফল।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক জলিল বাসসকে বলেন, গত দুই বছর পূর্বে নিজের ৩০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমে ৫৫ টাকা করে ৬০০ টি ড্রাগন ফল গাছের চারা এনে রোপণ করেন। রোপণের চার মাসেই গাছে ফল আসে। প্রথম বার প্রতিটি গাছে ৪ থেকে ৫টি ফল আসলেও এ বছর দ্বিতীয় বারে প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ২০টি ফল আসছে। ওই একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে আম, পেঁপে ও লেবু গাছ। বর্তমানে প্রতি কেজি ড্রাগন ফল বাগান থেকে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। যা বাজার মূল্য রয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।
এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন পলাশ বাসসকে জানান, ড্রাগন ফল চাষ চারা রোপণ করি। ইনশাআল্লাহ গত দুই বছরের মত এ বছরও পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের চাহিদা পূরণ করেও কয়েক লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবো। তাই চিন্তা করছি এবছর ড্রাগন ফলের চাষ আরো বাড়াবো। কারন বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা অনেক এবং ফলটি বেশ রসালো ও সুস্বাদু।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন বাসসকে জানান, সব ধরনের মাটিতে ড্রাগন চাষ হয়। তবে উঁচু জমিতে ভালো ফলন পাওয়া যায়। তিন মিটার পর পর গর্ত করে চারা রোপণ করতে হয়। বছরের যে কোনো সময় চারা রোপণ করা যায়। তবে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলে ভালো। বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস চাষিদের উৎসাহিত করেছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com