গত ৩ দিনের টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বৃদ্ধি পাওয়া পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কমলগঞ্জে কয়েকটি ইউনিয়নে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ১০ স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। উজানে ভারতীয় পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ধলাই নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমা অতিক্রম করে বন্যার আশঙ্কা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসী। শনিবার (১৮ জুন) বিকালে সরেজমিন কমলগঞ্জের ধলাই নদীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বেড়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখন পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকিব হোসেন ধলাই নদীতে পানি বৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিনিধিকে বলেন, বেলা ৩ টায় ভানুগাছ রেলওয়ে সেতু এলাকায় পরিমাপ করে দেখা গেছে ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমার ১০২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা এলাকা দিয়ে ইসলামপুর, মাধবপুর, আদমপুর, কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, কমলগঞ্জ পৌরসভা, মুন্সিবাজার ও রহিমপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে দীর্ঘ ৫৭ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে মনু নদী মিলিত হয়েছে ধলাই নদী। এর মাঝে অসংখ্য স্থানে আকা বাঁকা হয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এসব ইউনিয়নের ৮ থেকে ১০ স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ আছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বক্ষণিক নজদারি আছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টি হলে ধলাই নদীর পানি আরও বেড়ে বিপদ সীমা অতিক্রম করলে বন্যার আশঙ্কা থাকবে। তবে শনিবার বিকাল থেকে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় ধলাই নদীর পানি সামান্যহারে কমতে শুরু করছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, ধলাই নদীতে পানি বাড়লেও এখনও বিপদ সীমা অতিক্রম করেনি। ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন কাজ হওয়ায় আপাতত ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিমুক্ত আছে বলে তিনি মনে করেন। তারপরও উপজেলা প্রশাসন ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের দিকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে।