ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানা তথা গফরগাঁও উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয় এক নাম ডা: মোফাখখারুল ইসলাম রানা। তিনি ডাক্তার রানা নামে এলাকায় সমধিক পরিচিত। যিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সেবা দিতে গিয়ে কর্মজীবনে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন, হয়েছেন অনেক লাঞ্চনা-বঞ্চনা, হামলা, মামলার শিকার। নিজের কর্মস্থল ও এলাকায় যেখানেই নির্যাতিত নেতাকর্মী পান সেখানেই সেবার হাত বাড়িয়ে দেন ডা: মোফাখখারুল ইসলাম রানা। বিগত ১/১১ এর পর থেকে নিজ কর্মস্থল সাবেক পিজি হাসপাতালে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে একজন সাধারণ কর্মী পর্যন্ত দলের সকল স্তরের অসুুস্থ্য ও জাতীয় কারাবন্ধীদের পাশে থেকে যে কয়জন চিকিৎসক নিবেদিতভাবে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে চাকরি জীবনে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন, হামলা, মামলা, নির্যাতন ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে ডা. রানা অন্যতম। শুধু তাই নয়; প্রতিকূল পরিস্থিতিতে থেকেও তিনি নিজ উপজেলা গফরগাঁও উপজেলার ১টি পৌরসভা ১৫টি ইউনিয়নের যে সকল নেতাকর্মী রাজনৈতিক কারণে হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছেন তাদেরও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ডা. রানা বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন, জুলুম-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে যেসকল নেতাকর্মী গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তিনি তাদেরকে ঢাকায় এনে আশ্রয় দিয়েছেন। অনেককে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যারা হামলার শিকার হয়ে পঙ্গুত্ব বরণসহ শারীরিক সক্ষমতা হারিয়েছিলেন তাদেরকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ্য করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এমনকি মিথ্যা মামলায় কারাবন্ধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে তিনি স্বেচ্ছায় ও স্বউদ্যোগে আদালত থেকে জামিন করিয়ে এনে জেল থেকে মুক্ত করেছেন। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও এলাকায় সাংগঠনিক কর্মকান্ড গতিশীল রাখতে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তাও করে যাচ্ছেন। এসব কারণে এলাকার দলীয় নেতাকর্মীরাও তাকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করেন। এছাড়াও তিনি এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতষ্ঠানের উন্নয়ন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ক্লাব ও পাঠাগার উন্নয়ন, আর্থ মানবতার কল্যাণে তথা গরীব-দুখী রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ওষধপত্র বিতরণ,র্ ঝড়বৃষ্টি ও বন্যা কবলিত পানিবন্ধী মানুষের পাশে দাঁড়ানো, শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং এলাকায় সমবায় সমিতি গঠন করে অসংখ্য বেকার ছেলে-মেয়েদেরকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন কর্মকা-ে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ডা: রানা নিজ পিতার নামে ‘অ্যাডভোকেড নূরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন’ গঠন করে নিজেকে মানবতার সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি উক্ত ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি বর্তমানে সেইফ প্রোপার্টিস লিমিটেড এর পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। ডা: রানা ১৯৯৯ সালে সদস্য হিসেবে পেশাজীবী সংগঠন ড্যাব এর কেন্দ্রীয় কমিটিতে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে ২০০৪ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত পিজি হাসপাতালে ড্যাব এর কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থেকে বিএনপির একজন ত্যাগীকর্মী হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতির গুরু দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। ডা. রানা ১৯৯৭ সালে ময়মনসিংহ কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৯৮ সালে কৃতিত্বের সহিত এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ১৯৯৯ সালে চিকিৎসক সমাজের পেশাজীবী সংগঠন ড্যাবে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি ২০০৩ সালে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বা সাবেক পিজি হাসপাতালে যোগদান করেন। এর পর বিএসএমএমইউ থেকে ২০০৬ সালে ডি-অর্থো ডিগ্রি লাভ এবং ২০০৮ সালে অর্থোপেডিক সার্জারীর উপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ কর্তৃক ফেলোশীপ অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত অর্থোপেডিক সার্জারী বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে তথা অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ (দক্ষিণ) জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক ও গফরগাঁও উপজেলা পাগলা থানার বিএনপি আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ইতিমধ্যে তিনি দলের গফরগাঁও উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। ডা: মো: মোফাখখারুল ইসলাম রানার পিতা মরহুম অ্যাডভোকেড নূরুল ইসলাম জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন সৈনিক ছিলেন। তিনি আইন পেশায় দীর্ঘ ২০ বছর বিভিন্ন সময়ে ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পদক পদে নিয়োজিত ছিলেন। ডা. রানার মাতা অধ্যাপিকা হাফিজা ইসলাম ময়মনসিংহ মহিলা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন। তাদের বাড়ি গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার পাইথল গ্রামে। তিনি বর্তমানে ঢাকার সপরিবারে বাস করলেও সুযোগ পেলেই গ্রামে ছুটে যান। তিনি বলেন, গ্রাম আমার প্রাণ। ঢাকায় স্বশরীরে বাস করলেও মন থাকে আমার গ্রামে। গ্রামের মানুষের মমত্ববোধ আমাকে গ্রামে টেনে নেয়। আজীবন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।