মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া জেলার কালিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মত বিনিময় সভা করেছেন।গত শুক্রবার (৩০ জুন) সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার কালিয়া উপজেলার শুক্তগ্রাম, মহাজন যোগানিয়া, পাটনা, পাখিমারা, কলাবাড়িয়া, কালিয়া পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে মত বিনিময় করেন তিনি। ঈদ-উল আযহা পরবর্তী শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও মত বিনিময় কালে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।বিশ্বের বুকে আমরা মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি। সেই উন্নয়নের অংশ হিসেবে অবহেলিত কালিয়ার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে চাই। আমি শহরের বিলাস জীবন যাপন না করে নড়াইল তথা কালিয়া অঞ্চলের গরীব,দুখী,অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই। সমাজ থেকে অন্যায় দূর্নীতি, হানাহানি,সংঘাত দূর করে এলাকার উন্নয়ন ঘটাতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সুখ-দু:খের ভাগিদার হতে চাই।বিশেষ করে এলাকার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার মানোন্নয়নসহ তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দানে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবো আমি। কালিয়ার কৃতি সন্তান সিনিয়র সচিব খাজা মিয়াকে কাছে পেয়ে এলাকার নারী-পুরুষ তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়া,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এ সময় এ সময় কালিয়া উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ঞপদ ঘোষ, কালিয়া পৌরসভার মেয়র মো: ওয়াহিদুজ্জামান হীরা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। শনিবার তিনি নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী, শেখহাটি, শিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মত বিনিময় করেন। সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলা অন্তর্গত ফুলদাহ গ্রামে ১৯৬৫ সালের ৫ জুলাই সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮০ সালে চাচুড়ী পুরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি, ১৯৮২ সালে সরকারি বিএল কলেজ খুলনা হতে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮৬‘র নিয়মিত ব্যাচের ছাত্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ হতে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯১ সালে ১০ম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। তিনি গত ৩০ নভেম্বর ২০২০ তারিখ হতে ০২ জুন ২০২১ পর্যন্ত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সচিব ছিলেন। গত ২ জুন ২০২১ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর সচিব হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি গত ১ জুন ২০২৩ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন (বাসা) এর নির্বাহী কমিটির যুগ্ন মহাসচিব হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন।