ফরিদপুরের সদরপুরে দিয়ারা নারিকেল বাড়ীয়া ইউনিয়নের হাওলাদার কান্দি গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল হাওলাদার পরিবারের তিন প্রজন্মের ঈদপুনর্মিলনী। গত শনিবার ঈদের তৃতীয় দিন সকাল ১১ টায় কয়েক বছর আগে পদ্মা নদীর গর্ভ থেকে জেগে ওঠা হাওলাদার কান্দি গ্রামের নয়ন জুড়ানো বিস্তৃত সবুজমাঠ বেষ্টিত উন্মুক্ত জায়গায় অনুষ্ঠিত হয় এ মিলন মেলা। পুনর্মিলনী আয়োজনে শীর্ষ সমন্বয়কের ভুমিকা পালন করেন হাওলাদার পরিবারের সন্তান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক্সেকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও পিডি ভি আর আর পি এ. কে. ফজলুল হক। পরিবারের প্রবীণ সদস্য লাল মিয়া হাওলাদারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নাড়ীর টানে চলে আসেন দিয়ারা নারিকেল বাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন সরদার ও সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সাঈদ, খবির হাওলাদার, আবুল হাওলাদার বাবুল হাওলাদারসহ প্রায় চারশ’ সদস্য। অনুষ্ঠানে হাওলাদার পরিবারের পূর্বপুরুষ হাজী আহসানুল্লাহ হাওলাদারের পরবর্তী তিন প্রজন্ম পরস্পরে মধ্যে পরিচিতকরণ, বয়স্কদের স্মৃতিচারণ ও মতবিনিময় হয়। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ো হাওয়াসহ দমকাবৃষ্টি বাগড়া দিলে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। পরিবারের সদস্যদের পুনরেত্রীকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক্সেকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এ. কে. ফজলুল হক বলেন-আমাদের জন্মের আগে ইউনিয়নটি নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা জীবন জীবিকার আশায় পার্শ্ববর্তী ঢাকা, মানিকগঞ্জ মুন্সীগঞ্জ, নিজ জেলা ফরিদপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সব সময়ই নাড়ীর টান অনুভব করি। এবার সবাইকে একত্র করে কুশল বিনিময় করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। আগামীতে এ ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব। চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন – নারিকেল বাড়ীয়া ইউনিয়ন পদ্মানদীর মধ্যে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত, মূলভূখন্ডের সাথে যোগাযোগ কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ। নদী শাসন করা গেলে ইউনিয়নটি সাবেক অবস্থায় ফিরে আসবে।