রসালো, সুমিষ্ট আর সুঘ্রাণে পরিপূর্ণ সেরা কাঁঠালের স্থান নরসিংদীর বেলাব উপজেলাতে এবার চলছে হাহাকার। কাঁঠাল বেলাব উপজেলার মানুষদের আয়ের অন্যতম উৎস। কিন্তু এ বছর যথাসময়ে নদীতে পানি না আসা, বাজারে পাইকারদের কম উপস্থিতি, প্রচন্ড বৃষ্টিপাত সব মিলিয়ে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ বছর কাঁঠালের চাহিদা নেই বললেই চলে। গাছে গাছে, হাঁটে বাজারে নষ্ট হচ্ছে কাঁঠাল। পাঁকা কাঁঠাল গাছেই পঁচে যাচ্ছে আবার আবার কেউ কেউ ফেলেও দিচ্ছে। (৫ জুলাই) সকালে পোড়াদিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায় কাঁচা পাকা উভয় প্রকার কাঁঠালের সারি সারি ভ্যান গাড়ি, অটোরিকশা দাঁড়িয়ে আছে। কিছু কিছু কাঁঠাল দরদাম হচ্ছে, স্বল্প দামে বিক্রি হচ্ছে আবার কিছু কাঁঠালের দামই এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞেস করেনি কেউ। স্বল্পদামে কিছু কাঁঠাল বিক্রি হলেও এগুলো গাছ থেকে কাঁঠাল সংগ্রহ করার শ্রমিক খরচ, গাড়ী ভাড়ার দামই উঠছে না বলে জানান অনেকে। বাজনাব থেকে কাঁঠাল বিক্রি করতে আসা জসীম জানায়, প্রায় ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে সস্তায় কাঁঠাল বিক্রি করতে হচ্ছে এখন। গাছের নিচে অনেক পাকা কাঠাঁল পড়ে থাকলেও মানুষতো এসব খাচ্ছেই না, কুকুর শেয়ালও এখন আর খায় না। এমন আর কখনোই দেখিনি। চন্ডিপাড়ার হারুন বলেন, বাজান এইবার কাডাল বেইচ্ছা শাকসবজি ও কিনার সাধ্য নাই। আমি বাহি মাসগুলা চলাম কেমনে? ভাবলার কাঞ্চন বলেন, আমডা সারা বছরের টেহা কাঁঠাল বেইচ্ছা কামাইতাম। এইবার ফালাইয়া দিতাছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থেকে আসা ক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, আমার প্রয়োজনীয় কাঁঠাল কিনেছি। এ বছর কাঁঠালের চাহিদা নেই। আমরাও তেমন ক্রেতা পাইনা। তাই দাম স্বল্প। তবে সাধারণ মানুষের ভাষ্য যেহেতু নতুন পানি এসেছে, নদী খাল ভরে গেছে আর ঈদও শেষ হয়েছে, এখন কাঁঠালের চাহিদা বাড়বে।