রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন

ঈদুল আজহার পরও সবজির বাজার উর্ধ্বমুখী

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩

ঈদুল আজহার পর সপ্তাহ গড়ালেও সবজির বাজার উর্ধ্বমুখী। তাছাড়া এখনও কমেনি আদার দাম, বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থাকে ৩৬০ টাকা কেজিতে। ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে, যা ঈদের আগে ছিল ১৮০ টাকা। গতকাল শুক্রবার (৭ জুলাই) মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচা বাজার সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় এসব দর-দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বর্ষাকাল হওয়াতে সবজির দাম বেড়েছে। গতকাল শুক্রবারের বাজারে সব সবজিই বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে। লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, গোল বেগুন ১২০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, করল্লা ১০০-১২০ টাকা, উচ্ছে ১০০, পেঁপে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১২০-১৪০ টাকা, টমেটো ২৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা , ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০-৯০ টাকা, সজনে ১২০ টাকা , বরবটি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩২০ টাকা কেজি। লাউ ৭০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৬০ টাকা পিস।
এছাড়া গতকালের বাজারে ইলিশ মাছ ১৮০০-২২০০, রুই মাছ ৪০০-৪৫০, কাতল মাছ ৪০০-৫০০, কালিবাউশ মাছ ৪০০, চিংড়ি মাছ ১০০০, কাচকি মাছ ৫০০, টেংরা মাছ ৮০০, কৈ মাছ ২৫০, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, শিং মাছ ৬৫০, বেলে মাছ ৯০০-১০০০ টাকা কেজি। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৭৮ টাকা, কক মুরগি ২৪০-২৫০, দেশি মুরগি ৬৪০, গরুর মাংস ৭৮০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা মোহন বলেন, আমাদের দেশে বর্ষাকাল আসলে সবজির দাম বেড়ে যায়। কারণ অনেক সবজির গাছ বর্ষাকালে মরে যায়। এতে সবজির ঘাটতি পরে, তাই দাম বেড়ে যায়।
ঈদের পরে আজকেই পুরোপুরি বাজার খুলেছে। এর আগের কয়েকদিন সব দোকান ঠিক মতো খুলেনি। এ কারণেই আজকে ক্রেতার সংখ্যা বেশি। তবে সব ক্রেতাই বলছেন, সবজির দাম অনেক বেশি।
বাজার করতে আসা চাকরিজীবী রকিবুল বলেন, আজকে বাজারে সব সবজির দামই বেশি। করল্লা নাকি ১২০ টাকা। দাম কমাতে বলেছিলাম, কিন্তু কমায়নি। তাই আর কিনিনি। আরেক ক্রেতা সিরাজ বলেন, এতদিন কাঁচা মরিচ নিয়ে কত কিছু। প্রতিদিনই দাম উঠানামা করছে। এখন দেখছি সবজির দামও বেশি।
সবজি বিক্রেতা কালাম বলেন, সবজির দাম এখন একটু বাড়তিই আছে এটা অস্বীকার করার কিছু নাই। যখন কম দামে কিনতে পারবো তখন কমে বিক্রি করবো।
এছাড়া আজকে দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ৭৫ টাকা, আদা ৩২০-৩৬০ টাকা, দেশি রসুন ১৬০ টাকা, ভারতীয় রসুন ২০০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আলু বিক্রেতা কায়সার বলেন, ঈদের পর থেকেই আলুর দাম বাড়তি। কেন বাড়ছে তা জানি না। মুদি দোকানের পণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই। মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, আটা ১৩০ টাকা (২ কেজির প্যাকেটে), খোলা ময়দা ৬৩ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, প্যাকেট সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা, খোলা সরিষার তেল ২৫০ টাকা লিটার।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com