বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
১৫তম জাতীয় সিনিয়র ক্লাব ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় শাম্মী সুলতানার তিনটি অনন্য রেকর্ড জনপ্রশাসন সংস্কারে নাগরিকরা মতামত দিতে পারবেন যেভাবে প্রফেসর তরুণ কান্তি বড়–য়ার রেক্টর পদে যোগদান উপলক্ষে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা হাসিনার মতো ’৭১ সালে শেখ মুজিবও পালিয়ে ছিলেন: মির্জা ফখরুল মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী আগামী ২৬ নভেম্বর শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলা বজ্রপাতে মাঠেই মারা গেলেন ফুটবলার মার্কিন নির্বাচন : কার জয়ে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কে কী প্রভাব পড়বে? ৮ গোপন আটককেন্দ্রের সন্ধান আরও ২৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল

৬৭ জেলায় ছড়িয়েছে ডেঙ্গু, আক্রান্তের ৬০ ভাগই ঢাকায়

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা জানি বাংলাদেশে ডেঙ্গু অনেক বেড়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশে ডেঙ্গুতে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১২ হাজার আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং ৯ হাজারের বেশি লোক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকার মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, মশা বেশি থাকার কারণে এবছর ডেঙ্গুটা বাড়তি। বৃষ্টি এবং বিভিন্ন জায়গায় পানি আটকে থাকায় মশা বেশি জন্ম নিচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের একমাত্র পথ হচ্ছে মশা কমানো। মশা কম হলে মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত কম হবে। আশঙ্কাজনক বিষয় হচ্ছে- বাংলাদেশের এখন সবগুলো জেলার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। লেটেস্ট পরিসংখ্যান হচ্ছে দেশের ৬৭টি জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে গেছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে যত ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে তার মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি। সারা দেশের ডেঙ্গু আক্রান্তের ৬০ ভাগই ঢাকায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা হাসপাতাল স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনেক রোগী আছে। ডেঙ্গু মোকাবেলায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাকে আহবান করব তারা যেন বেশি বেশি স্প্রে করে এবং যেখানে যেখানে পানি জমে সেগুলো সরিয়ে ফেলে।
মন্ত্রী আরো বলেন, যেখানে বহুতল ভবন আছে সেখানে ডেঙ্গু বেশি দেখা দিচ্ছে। কারণ সেসব ভবনের নিচে গ্যারেজ আছে এবং পানি জমে থাকে। নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে বেশি পানি জন্মে থাকায় সেখানে এডিস মশার নেয়। শুধু সরকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না পাশাপাশি জনগণ কেউ এগিয়ে আসতে হবে। যার যার বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার করতে হবে এবং যেখানে মশা জন্ম নেয় সেখানে স্প্রে করে লার্ভা গুলোকে ধ্বংস করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, গত বছর এ সময় অনেক ভালো অবস্থায় ছিলাম। বর্তমানে মশা এবং ডেঙ্গু অনেক বাড়তি, এখন থেকে যদি আমরা সজাগ না হই তাহলে এটা আরো বেড়ে যাবে। আমাদের ডিপার্টমেন্টে যারা মশা নিয়ে গবেষণা করেন তারা জানিয়ে দিয়েছেন কোথায় কোথায় মশা ভেসে আছে এবং ঘনত্ব বেশি আছে। এখন বাকি কাজটুকু সিটি কর্পোরেশনের। সিটি কর্পোরেশন স্প্রে করেছে কিন্তু আমার কাছে মনে হয় তারা সেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। যার ফলে ডেঙ্গু এত বেড়েছে। আমাদের মেয়ররা বিভিন্ন ভবনে যাচ্ছেন তদারকি করছেন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কিন্তু সেভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে নাই। তাদের একার পক্ষে সম্ভব নয় জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে ডেঙ্গু মোকাবেলায়। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোতর কি ব্যবস্থা আছে এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেশের সমস্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে এবং ডাক্তার নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া আছে। এছাড়া ওষুধ পত্রের সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে এখনো সিট খালি আছে। সেগুলোই এখনো ভরেনি। আশা করি চিকিৎসার কোন সমস্যা হবে না। মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু আরো বাড়তে পারে। সেজন্য এখন থেকেই সবাইকে সজাগ এবং সচেতন হতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবছার সরকার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকারসহ আরো অনেকে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com