শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন

সোনাইমুড়ীতে মহাসড়কের পাশে জায়গা দখলের হিড়িক

এম এ মতিন (সোনাইমুড়ী) নোয়াখালী
  • আপডেট সময় বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কের পাশে জায়গা দখলের হিড়িক পড়েছে। উপজেলাব্যাপী এই দখল বাণিজ্য চলতে থাকলেও কোন মহলের মাথা ব্যথা নেই। খোদ সড়ক বিভাগের এক শ্রেণির কর্মচারী এই বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ করে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক বিভাগের তদারকিতে থাকা কর্মচারী ও ভূমি বিভাগের লোকজন টাকার বিনিময়ে এ সকল জায়গা ভরাটে সহায়তা করছে। উপজেলার নদনা ইউনিয়নের কালুয়াই মৌজার হাজ্বী আবদুর রশিদ বেপারী বাড়ীর পাশে ১০১৮-১৯ দাগের বিশাল এলাকাজুড়ে স্থানীয় শিমুলিয়া গ্রামের সি.এন.জি মাসুদ ও কৌশল্যারবাগ গ্রামের বাবুল ট্রাকযোগে বালি ফেলে সড়কের জায়গা দখল করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় উপজেলার ইসলামগঞ্জ বাজার, বজরা মেডিকেল, সোনাইমুড়ী বাইপাস, চৌরাস্তা, চাষিরহাট বাজার এলাকায় (সওজ) মহাসড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এক শ্রেণির প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ, কাঁচাপাকা দোকানপাট, সড়কের উপর বালুর ভাগাড় রেখে সরকারি জাগয়া দখল অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন স্থানে জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে স্কয়ার ফিট হিসেবে বিক্রি করছে বলেও জানা যায়। বেশির ভাগ সময় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে টিনের ঘেরা দিয়ে রাতের আঁধারে স্থাপনা নির্মান করছে বলে স্থানীয়রা জানান। মাঝে মাঝে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মানাধীন স্থাপনা গুড়িয়ে দিলেও প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে আবার দখল হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের নদনা বাজারের পূর্ব দিকে রাস্তার দক্ষিণে সড়ক বিভাগের পরিত্যক্ত জায়গা বালি ভরাট করে দখল করছে এক শ্রেণির ভূমিদস্যুরা। সোনাইমুড়ী এস.আর অফিসের সামনে থেকে শুরু করে রামগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে চলছে বালি ভরাট করে জায়গা দখলের হিড়িক। পৌর ভূমি অফিসের ১০০ গজ সামনে পিলার ও কাঠ দিয়ে সরকারি জায়গা দখল করলেও প্রশাসন নীরব। এছাড়াও সড়কের পাশে পানি প্রবাহের অনেক খাল ভরাট করে দোকানপাট নির্মান করছে অবৈধ দখলদাররা। এসব দখল নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রায়সময় ছোট-বড় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা এস.এম জাহাঙ্গীর কবির বাবুসহ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ভূমিদস্যু এই চক্রটি অব্যাহতভাবে বালি ভরাট করে দখল কাজ অব্যাহত রাখলেও স্থানীয় প্রশাসন বাধা প্রদানে কোন উদ্যোগ নিচ্ছেনা। স্থানীয়রা আরো বলেন, সরকারি জায়গা দখলের সময় প্রশাসন নিরব থাকে। যার ফলে বিভিন্ন স্থানে সরকারি জায়গাগুলো বে-দখল হয়ে যাচ্ছে। দখলের পর সরকারি জাগয়া উদ্ধার করতে বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে। এখনি অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভুমিদস্যুদের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নোয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাকিরুল ইসলাম বলেন, আমরা অচিরেই মহাসড়কের পাশে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিচ্ছি। সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। আমরা উল্লেখিত স্থান চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com