চাকরির বিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খাজা মিয়াকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। নির্বাচনি প্রচারণায় তার অংশগ্রহণ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হওয়ায় মঙ্গলবার (১১ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে নিজ এলাকা নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া। তার নির্বাচনি প্রচারণার ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ আছে আরও এক বছর। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনও সরকারি কর্মকর্তার অবসর নেওয়ার পর তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। অথচ তিনি চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর থাকতেই নির্বাচনি প্রচারণায় নেমেছেন, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার পরপন্থী। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫(১) ধারায় (রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ) বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মচারী কোনও রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনও অঙ্গ সংগঠনের সদস্য হতে, অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না। অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনও প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না।’
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২-এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনও চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন, বা অবসর গমন করেছেন এবং ওই পদত্যাগ বা অবসর গমনের পর যদি তিন বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে, অর্থাৎ অবসর বা পদত্যাগের পর তিন বছর শেষ না হলে কোনও সরকারি চাকরিজীবী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।’ তবে এই বিধান বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। যদিও বিষয়টি এখনও আদালতে নিষ্পত্তি হয়নি।