পণ্য ও সেবা খাতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা গতবারের চেয়ে সাড়ে ১১ শতাংশ বাড়িয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গতকাল বুধবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও ঘোষণা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক প্রতিকূলতার পরেও ভালো ফলাফল এসেছে। গতবছর কিন্তু গ্যাসের সমস্যা হয়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে। এমন সমস্যার পরও তারা ভালো অর্জন করেছে। গতবছরের টার্গেট অর্জন করতে না পারলেও তার আগের বছরের চেয়ে বেশি অর্জন হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, নতুন অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি করে ৭২ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬২ বিলিয়ন ডলার আসবে পণ্য রপ্তানি থেকে, তাতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর ১১ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে সেবা রপ্তানি থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার আয়ের আশা করছে সরকার।
গতকাল বুধবার অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পরিকল্পনামাফিক নতুন রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী হলেও পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আসেনি।
সচিব বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে, যেটি আগের বছরের চেয়ে ৬.৭ শতাংশ বেশি। পণ্যভিত্তিক দেখলে দেখা যায়, তৈরি পোশাকে প্রায় ১০ ভাগ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নিট পণ্যে একটু বেশি। কিন্তু চামড়াসহ অন্যান্য খাতে কিছু ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হওয়ায় সব মিলে ৬.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তবে ভবিষ্যতে ভালো কিছুর আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা যদি বৈশ্বিক রপ্তানির ডেসটিনেশন লক্ষ্য করি, তাহলে দেখা যাবে আমেরিকা এবং ইউরোপে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের পণ্যের চাহিদা কমে গেছে। বিশেষ করে ইউরোপের জার্মানিতে রপ্তানি বেশ কম হয়েছে। তবে এসব দেশে এখন মূল্যস্ফীতি কমে আসছে। নভেম্বর থেকে হয়ত বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি আরও কমে আসবে। ফলে নভেম্বর থেকে হয়ত সারা বিশ্বব্যাপী আমাদের চাহিদা বাড়বে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।
প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের রপ্তানি সম্ভব হয়েছিল। সে হিসেবে ৬.৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আড়াই বিলিয়ন ডলার পিছিয়ে ছিল রপ্তানি আয়।