সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন

জামায়াতের মাসব্যাপী মশক নিধন কার্যক্রম উদ্বোধন

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুর রহমান মূসা বলেছেন, সরকারসহ সিটি করপোরেশনগুলোর উপর্যুপরি ব্যর্থতার কারণেই রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে বিপুল সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। প্রাণও হারাচ্ছেন অনেকেই। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। তিনি ডেঙ্গু রোগীদের সার্বিক সহযোগিতা দানের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের দক্ষিণখান পশ্চিম থানা আয়োজিত ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন অভিযান ও মশারি বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমির শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন। আরো উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি মামুন মিয়া, জামায়াত নেতা ডা. আবু তাহের, ডা. এম এ আলম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মশক নিধন অভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানীতে জামায়াতের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী জীবাণুনাশক ছিটানো ও মশারি বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, মূলত, ডেঙ্গু একটি এডিস মশাবাহিত ভাইরাস রোগ। কিন্তু এ রোগের এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আগেই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন ও কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা করা দরকার। মূলত, এডিসের বিস্তাররোধ ও মোকাবেলায় পরিচ্ছন্ন নগরায়নের কোনো বিকল্প নেই। সবার আগে এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলো কার্যকর ভাবে ধ্বংস করার দরকার। এজন্য সিটি করপোরেশনগুলোকে নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা এবং জীবণুনাশক স্প্রে করা জরুরি। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের কাজ একেবারেই দায়সারা গোছের। মাঝে মাঝে বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক ছিটানো দেখা গেলেও মানহীনতার কারণে তা খুব একটা ফলদায়ক হয় না বরং এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হয়। তিনি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারসহ সিটি করপোরেশনগুলোকে কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রতি বছর বর্ষাকালে আমাদের দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু রাজধানীতে এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আর গণসচেতনার অভাবও পরিস্থিতির বড় ধরনের অবনতি ঘটিয়েছে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশেপাশে বা মহল্লায় এডিসের কোনো প্রজনন স্থান লক্ষ্য করা গেলে তা নিজ উদ্যোগেই সিটি করপোরেশনসহ সংশিষ্ট বিভাগকে জানাতে হবে। সম্ভব হলে নিজেরাই এসব ধবংসে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। নিজ বাড়িতে মশক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রত্যেককে মশারি ব্যবহার করতে হবে। তিনি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত সামাজিক গণসচেতনতা গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com