প্রেমের টানে নীলফামারীতে ছুটে এলেন চীনা নাগরিক নীল ঝানরুই। বাংলাদেশি প্রেমিকা মিন্নি আকতার মিথুন (২০) এর সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। প্রেমিক নীল ঝানরুই চীনের গুয়ানডং শহরের চিশুয়ী টাউনের লীন সিংকের ছেলে। এর আগে লীন ঝানরুই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মোহাম্মদ লাবীব নাম ধারণ করেন। মিন্নি আকতার মিথুন নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজ পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে।
গত মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা ইপিজেডের টিএইচটি-স্পেস ইলেট্রিক্যাল কোম্পানিতে টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন চীনা নাগরিক লীন ঝানরুই। একই কোম্পানিতে চাকরিরত ছিলেন মিন্নি। গত ২০২২ সালের আগস্ট মাসে সৈয়দপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারের এক সহকর্মীর বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় ঘটে লীন ঝানরুই ও মিন্নির। সেই পরিচয় থেকে গড়ে ওঠে প্রেম। এর মধ্যে লীন ঝানরুইকে তার কোম্পানি বিশেষ কারণ দেখিয়ে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু প্রেমিকার টানে গত ঈদ-উল আজহার দুদিন আগে লীন ছুটে আসেন সৈয়দপুরে। তারপর গত ১৮ জুলাই লীন আদালতের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মোহাম্মদ লাবীব নাম ধারণ করেন। ওইদিনেই শহরের অভিজাত একটি হোটেলে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৫০১ টাকা দেনমোহরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন লাবীব ও মিন্নি। এদিকে মিন্নির সহকর্মীরা জানান, তারা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন এবং মোটরসাইকেলে প্রকাশ্যে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। বিয়ের আগেই এ কারণে চাকরিচ্যুত হন। চাকরি হারিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন। এ বিষয়ে মিন্নি আকতার মিথুন বলেন, আমার প্রেমের টানেই সে চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছে এবং মুসলিম শরিয়া মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। চাকরি বড় বিষয় নয়, দুজনেই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সংসার গড়তে চাই। লাবীব যদি তার দেশে নিয়ে যেতে চায়, তাহলে অবশ্যই চলে যাবো। বয়সের পার্থক্য প্রেমে কোন বাধা নয়।
চীনা নাগরিকের ইসলাম ধর্মগ্রহণ এবং বিয়ে সম্পন্ন বিষয়টি অবগত নয় বলে জানান সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে ধর্মগ্রহণ বা বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।