বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা না তোলার বাংলাদেশ ব্যাংকের আহ্বান ১৫তম জাতীয় সিনিয়র ক্লাব ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় শাম্মী সুলতানার তিনটি অনন্য রেকর্ড জনপ্রশাসন সংস্কারে নাগরিকরা মতামত দিতে পারবেন যেভাবে প্রফেসর তরুণ কান্তি বড়–য়ার রেক্টর পদে যোগদান উপলক্ষে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা হাসিনার মতো ’৭১ সালে শেখ মুজিবও পালিয়ে ছিলেন: মির্জা ফখরুল মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী আগামী ২৬ নভেম্বর শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলা বজ্রপাতে মাঠেই মারা গেলেন ফুটবলার মার্কিন নির্বাচন : কার জয়ে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কে কী প্রভাব পড়বে? ৮ গোপন আটককেন্দ্রের সন্ধান

অনাবৃষ্টি, আমন চাষে বিপাকে কৃষক

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩

চলছে শ্রাবণ মাস। এ মাসের শুরু থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। ধান আবাদের জমিতে জমতে থাকে পানি। বীজতলা থেকে দোগাছি করে আমন চাষিরা। গত কয়েক দিনের টানা তাপদাহে শুকিয়ে যায় জমে থাকা প্রায় জমির পানি। এখন চারা রোপণ নিয়ে বিপাকে আমন চাষিরা।
জেলার ১৩ টি উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, আমন চাষিরা ১৫ কেজি ডেপ ও ৫ কেজি পটাস সার ছিটিয়ে জমি তৈরি করছেন। তবে চারা রোপণে পর্যাপ্ত পানি নেই প্রায় জমিতে। কিছু কিছু জমিতে দেখা যাচ্ছে পানি, এসব জমিতে কৃষক চারা রোপণ করছেন। আবার যে সব জমিতে পানি শুকিয়ে গেছে তারা জমি তৈরি করে বৃষ্টির পানির অপেক্ষায় আছেন। কেউ কেউ জমির পাশের ডোবা-নালা থেকে শ্যালো মেশিন দ্বারা পানি সেচ দিচ্ছেন। আগামিতে আলু এবং সরিষা আবাদের জন্য আগাম আমন চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এজেলার ধান চাষিরা। কিন্তু খরতাপে জমিতে পানি না থাকায় চিন্তিত তারা।
হিলির হরিহরপুর গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, এবার তিন বিঘা জমিতে আমন চাষ করছি। জমি তৈরি করেছি, দোগাছি থেকে চারা তুলছি। জমিতে চারা রোপণের লোকজনও লাগাইছি। তবে জমিতে পানি কম আছে, দেখি কি হয়।
মুনষাপুর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, গত ইরি ধানের দাম ভাল পাইছি। এবার ৭ বিঘা জমিতে আমন চাষ করবো। সব জমিতে সার দিয়ে জমি তৈরি করেছি। কয়েকটা জমিতে পানি আছে। উঁচু জমিগুলোতে একেবারে পানি নেই। যদি এর মধ্যে বৃষ্টি না হয় তাহলে বিপাকে পড়তে হবে। হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, হাকিমপুর উপজেলায় ৮ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হচ্ছে। আমন চাষে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি।
এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান বলেন, জেলার ১৩ উপজেলায় ২ লাখ ৬০ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। জেলায় প্রায় ২৪ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। গত বোরো মৌসুমে ধানের দাম অনেক ভাল পেয়েছে কৃষক। এবারও ভাল দাম পাবার আশায় আমন চাষে মনযোগী হয়ে উঠেছে। আমরা কৃষকদের সার্বিকভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।-রাইজিংবিডি.কম




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com