ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছেন, জনভোগান্তি সৃষ্টি করে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে পুলিশকে এ ধরনের কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ এবং আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের শান্তি সমাবেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার ডিএমপি কমিশনার এমন সতর্কবার্তা দিলেন। রাজধানীর হোসাইনী দালানে আশুরায় তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে গিয়েছিলেন খন্দকার গোলাম ফারুক। সেখানেই একজন সাংবাদিক প্রধান দুই দলের বৃহস্পতিবারের কর্মসূচির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমি সকল রাজনৈতিক দলকে বলব আপনারা সমাবেশ করেন, কিন্তু জনগণকে কষ্ট না দিয়ে। হয়ত ভবিষ্যতে এমন সময় আসবে, জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে আমাদের বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হতে পারে।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, বৃহস্পতিবার ঢাকায় সমাবেশ করার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ নয়টি দলের আবেদন পেয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘পর্যালোচনা করে কয়েকটি পার্টিকে অনুমতি দেব। যারা অনুমতি পাবেন, রাজনৈতিক সমাবেশ করা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ঢাকা মহানগর পুলিশের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।’
সরকার পতনের ‘এক দফা’ আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও সমমনা দলগুলো গত ১৮ ও ১৯ জুলাই ঢাকাজুড়ে পদযাত্রা করে। ওই দুই দিনই ঢাকায় শান্তি শোভাযাত্রা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দুই দিনই যানজটে নাকাল হতে হয়েছে নগরবাসীকে। ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ঢাকায় ‘মহাসমাবেশ’ ডেকেছে বিএনপি, যদিও এখনোতাদের সমাবেশের স্থান চূড়ান্ত হয়নি। এর বিপরীতে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ বৃহস্পতিবার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ-পশ্চিম গেইটে ‘শান্তি সমাবেশের’ ডাক দিয়েছে। দুই দলের এই পাল্টা পাল্টি কর্মসূচিতে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে আবারো ভোগান্তির শঙ্কা তৈরি হয়েছে জনমনে। সেই প্রসঙ্গ ধরে পুলিশ কমিশনার রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, ‘ওয়ার্কিং ডেতে বিশাল বিশাল জনসভা করে লাখ লাখ লোককে রাস্তায় আটকে রাখার মত বিষয়গুলো যেন তারা বিবেচনা করেন, তারা যেন ভবিষ্যতে ওয়ার্কিং ডেতে না দিয়ে বন্ধের দিনগুলোতে কর্মসূচি গ্রহণ করেন।’
আর রাজনৈতিক কর্মসূচি যাতে সহিংসতার দিতে না যায়, সে বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘যারা সমাবেশে আসবেন, তারা যেন লাঠি বা ব্যাগ না নিয়ে আসেন। বিস্ফোরণ বা সাবোটাজ ঘটানোর সুযোগ যেন না হয়।’