৪০ টনের লরির নিচে চাপা পড়েও বেঁচে গেলেন শিশুসহ ৫ জন। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রায় চল্লিশ টন ওজনের বিশালাকার একটি লরির নিচে চাপা পড়েও ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেন এক শিশুসহ পাঁচ প্রাইভেটকার আরোহী। লরির চাপে প্রাইভেটকারটি একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গেলেও যাত্রীদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরে যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ গেইটের পাশে চলন্ত প্রাইভেটকারের ওপর কন্টেইনারবাহী একটি লরি আছড়ে পড়লে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের যৌথ প্রচেষ্টায় তাদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকামুখী একটি প্রাইভেটকারকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাপা দেয় একইদিকে একটি লরি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে থাকে। প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় ১১টার দিকে চাপা পড়া লরিটিকে সরিয়ে প্রাইভেটকারে থাকা পাঁচ যাত্রীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসে সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এর পরেই এসে পৌঁছায় হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম। রেকার এবং ক্রেনের সহায়তায় লরিটিকে আমরা সরাতে সক্ষম হই। দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকারচালক সামান্য আহত হলেও বাকিরা অক্ষত ছিল। পাঁচ যাত্রীর মধ্যে একটি ছোট শিশুও ছিল। সবাইকে অক্ষত অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা অলৌকিক ঘটনার মতো মনে হচ্ছে আমাদের কাছ। বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের এসআই আমির হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করি। পরবর্তীতে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির দু’টি ক্রেনের সাহায্যে লরিটিকে উপর দিকে সরিয়ে প্রাইভেটকারটি বের করা হয়। যাত্রীরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করায় তাদের জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।