বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কয়রায় সড়কের কাজ ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা, জনদুর্ভোগ চরমে ধনবাড়ীতে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকি মৌলভীবাজার জেলার ৫ উপজেলা ও ৫ পৌর শাখা বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন নড়াইলে তারুণ্যের উৎসবে বালক-বালিকাদের সাইক্লিং প্রতিযোগিতা লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের উদ্যােগে পত্রিকার হকার ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কালকিনিতে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুর্ধ্ব ১৭ এর ফাইনাল ম্যাচ নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াজেদকে ফুলেল শুভেচছা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান শ্রীমঙ্গলে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে লাখ টাকা জরিমানা শিক্ষকের দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক এমপি’র তারাকান্দায় তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা

কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, বৃষ্টি অব্যাহত ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি: নিহত ৭

মনির আহমদ কক্সবাজার :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩

কক্সবাজারের দুই হাজারের ও অধিক বাড়ী-ঘর বন্যার পানিতে দুইদিন নিমজ্জিত থাকার পর ভেসে উঠতে শুরু করেছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। নিহত হয়েছে ৮ জন। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থায জরুরী খাদ্য, অষুধ, আশ্রয় সংকট চলছে। এসব মানুষের মধ্যে হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে। অন্যদিকে চকরিয়ার বরইতলীতে বাড়ির মাটির দেয়াল ধসে দুই শিশু ও উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে মা-মেয়ে নিহত হয়েছে। এর আগে বিকেলে মাতামুহুরী নদীতে ঢলে ভেসে আসা কাঠ ধরতে গিয়ে ভেসে গিয়ে শাহ আলম (৩০) এবং সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে পানিতে ডুবে আনোয়ার হোসাইন(৬৫) ও পুর্ব বড় ভেওলায় পানিতে নেমে নিখুজ হয়েছে ১৩ বছরের কিশোরসহ তিনজন। পানি পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৩ টা পর্যন্ত মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হরয়ছে। পেকুয়ায় বেড়ীবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, চকরিয়ায় ১৮ টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে ৪৫ হাজার পরিবারের ১ লাখ ৮৫ জন মানুষ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পানিবন্দি হয়েছে পেকুয়া উপজেলায়। এখানে পানিবন্দি হয়েছে ৭ ইউনিয়নে ৮ হাজার পরিবারের ৩২ হাজার মানুষ। চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী জানিয়েছেন, পার্বত্য জেলা ও চকরিয়ার পাহাড়ী ঢল নেমেছে মাতামুহুরী নদীতে। পাহাড়ী ঢল, বৃষ্টি এবং জোয়ারের ঢেউয়ে বাঁধ ভেঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়ন াবিত হয়েছে। চকরিয়ার বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
এর মধ্য ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে কাকারা, লাক্ষ্যারচর, বুমুবিল ছড়ি সুরাজপুর-মানিকপুর, কৈয়ারবিল ও কোনাখালী ইউনিয়ন। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান জানান, দুই দিন ডুবে থাকার পর বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে প্লাবিত এলাকার লোকজনকে সরকারী সহায়তা প্রদান শুরু করা হয়েছে। প্লাবিত এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com