প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দ্রুত ই-ভিসা কার্যক্রম শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশের ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় দূতাবাসে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেন। গত ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক ই-পাসপোর্টেন উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।’
তিনি বলেন, ‘যুগের চাহিদা ও উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় অবস্থান, মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইতো মধ্যে বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এমনকি উন্নত দেশগুলোর স্বল্পসংখ্যক দেশে স্থাপিত হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হলো।’
মন্ত্রী বক্তব্যে আরও বলেন, ‘বতর্মানে দেশের ৬৪টি জেলার ৭২টি অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আজকে ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে বেলজিয়ামে ই-পাসপোর্ট সেবা প্রদান চালু হয়েছে। শিগগির দেশের ৮০টি মিশনে কার্যকারিতা শুরু হবে।’ অনুষ্ঠানে বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ই- পাসপোর্ট প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাহবুব হাসান সালেহ্, বাংলাদেশ দূতাবাস বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ সাহানারা খাতুন। উপস্থিত ছিলেন বেলজিয়ামে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের অনেকেই।