সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও অতিরিক্ত টোল আদায় করলেই ইজারা বাতিল-ভোলায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত কৃতি ফিরোজীকে বাঁচাতে সাভারে চ্যারিটি কনসার্ট আওয়ামী লীগের সাথে দ্বন্দ্ব নাই, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার চাই-আব্দুল আউয়াল মিন্টু জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগৈলঝাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তুদের অবস্থান কর্মসূচি জামালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ভুট্টা চাষে দেশের শীর্ষে চুয়াডাঙ্গা: ৫৯,৬৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদ

আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন

মনির আহমদ কক্সবাজার
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩

জাতীয় শোক দিবসের দিন গত ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়ায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে সংঘাত-সহিংসতার সময় চকরিয়ার বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ফোরকানকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেছেন। এ দিনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা কোন সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কোন অস্ত্রবাজি করা হয়নি।জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সন্ত্রাসীরা ওইদিন প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ বাহিনীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও তাদের ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করার খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে চারটার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি মিছিল নিয়ে বের হয় পৌরশহরের মহাসড়কে। কিন্তু তার আগেই মহাসড়ক থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বায়তুশ শরফ সড়কের মাঝামাঝি স্থানে ফোরকানুল ইসলাম নামের একজন নিরীহ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে জামায়াত-শিবির ও বিএনপিরা। সেই হত্যাকান্ডকে আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দিয়ে শান্ত চকরিয়াকে অশান্ত করার মিশনে নেমেছে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌরশহরের চিরিঙ্গা জনতা মার্কেটস্থ উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন চকরিয়া আওয়ামিলীগ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পুরোনো একটি ছবিকে এডিট করে ঘটনার পর দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াতের একটি মিডিয়া সেল। এমনকি কিছু প্রচার মাধ্যমে সেই ছবিকে সত্য ধরে নিয়ে এবং অস্ত্র তাক করা ব্যক্তিটি পৌর যুবলীগের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বেলাল উদ্দিনের বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ ওই ব্যক্তি কোনভাবেই বেলাল উদ্দিন নন। এই অবস্থায় বেলাল উদ্দিন নিজে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের জীবনহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু। লিখিত বক্তব্যে বলেন, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ওইদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে পুরো চকরিয়ায় নানা কর্মসূচী নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে খবর পান সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি শুরু করেছে। তখনই মূলত ফোরকানুল ইসলাম হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়। এর পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি মিছিল নিয়ে মাঠে নামলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ওইদিন আমি পৌরশহরের চিরিঙ্গার শান্তি মিছিলেও উপস্থিত ছিলাম না। মূলত সকাল থেকেই হলুদ পাঞ্জাবী ও সাদা পায়জামা পরে আমি ছিলাম চিরিঙ্গা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের গ্রীণ ভ্যালী কমিউনিটি সেন্টারে। যেখানে শোক দিবস উপলক্ষে গণভোজের আয়োজন চলছিল। এর পর থেকে একই পোশাকে আমি বিভিন্নস্থানে যাই। যেসব জায়গায় আমি গিয়েছি, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংরক্ষিত আছে। অথচ আমাকে অস্ত্রবাজ আখ্যা দিয়ে গণমাধ্যমে তুলে ধরায় আমি এবং পরিবার সদস্যরা জীবনহানির শঙ্কায় রয়েছি। আমি এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বশিরুল আইয়ুব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন, পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরী, ফরিদুল আলম, হুমায়ুন কবির, আরিফ মঈনুদ্দীন রাসেলসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com