বাংলা সিনেমার বরেণ্য অভিনেত্রী শবনম। তার ছয় দশকের বর্ণাঢ্য চলচ্চিত্র জীবন। বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করলেও দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন পাকিস্তানের সিনেমায়। পাকিস্তানের সিনেমায় তার অবদান এতোটাই যে, সেখানে ‘মহানায়িকা’ বলা হয় শবনমকে। তার অভিনয়ের গুণে দেশটির চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার নিগার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১৩ বার।
বিষয়টি নিশ্চিত করছেন সাংবাদিক তেপান্তর। তিনি বলেন, সিতারা-ই-ইমতিয়াজ পুরস্কার প্রাপ্তির কথাটি তিনি (শবনম) আমাকে জানিয়েছেন। বুধবার (১৬ আগস্ট) বিষয়টি তিনি আমাকে জানান। এটি মূলত পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার, যা পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতি সেবার জন্য দেওয়া হয়।
জানা গেছে, আগামী বছর ২৩ মার্চ শবনমকে এ পুরস্কার প্রধান করা হবে। পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে অসামান্য অবদান রাখায় শবনম সম্মানসূচক পুরস্কার হিসেবে মোট ১৩ বার ‘নিগার পুরস্কার’ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি দেশে বিদেশে অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন।
শৈশবেই বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নাচ শেখেন শবনম। একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে তিনি সুপরিচিতি লাভ করেন। সেখানেই একটি নৃত্যের অনুষ্ঠানে নির্মাতা এহতেশাম তার নাচ দেখে ‘এদেশ তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের নৃত্যে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন। এহতেশামের আরও কিছু সিনেমায় অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন শবনম। কিন্তু এহতেশামের পাশাপাশি পরিচালক মুস্তাফিজের নজর কাড়তে সক্ষম হন অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেই।
মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৬১ সালে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন শবনম। এ সিনেমাতেই তিনি ঝর্ণা বসাক থেকে ‘শবনম’ নাম ধারণ করেন।