আসন্ন এশিয়া কাপকে যদি ধরা হয় বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম , তাহলে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ পাকিস্তানের কাছে এশিয়া কাপের স্টেজ রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত হওয়াই স্বাভাবিক। শ্রীলঙ্কার মাটিতেই অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপের বেশিরভাগ ম্যাচ। বাবর আজমরা দ্বীপরাষ্ট্রেই আফগানদের বিরুদ্ধে দ্বি-পক্ষীয় সিরিজে লড়াই চালাচ্ছেন। গত মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে দাপুটে জয় তুলে নিলেও পাকিস্তানের শুরুটা হয় ভয়ানকরকম খারাপভাবে। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে তারা প্রথম ২ ওভারে ২টি উইকেট হারিয়ে বসে। প্রথম ওভারেই ফজল হক ফারুকির বলে স্লিপে মোহম্মদ নবির হাতে ধরা পড়েন ফখর জামান। দ্বিতীয় ওভারে বাবর আজমকে এলবিডব্লিউ-র ফাঁদে জড়ান মুজিব উর রহমান। বাবর ৩ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এশিয়া কাপের প্রস্তুতি মে বাবর শূন্য রানে আউট হওয়া মাত্রই ইমরান খানের হতাশাজনক এক নজিরে ভাগ বসান। একা ইমরানের সাথেই নয়, বরং বাবর একাসনে বসে পড়েন জাভেদ মিয়াঁদাদ, আজহার আলি ও ইউনিস খানের সাথেও। ওয়ান ডে ক্রিকেটে বাবর আজম এই নিয়ে চারবার শূন্য রানে আউট হলেন। তিনি ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন হিসেবে এই নিয়ে মোট দু’বার খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ওয়ান ডে ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার নিরিখে ইমরানদের নজিরে ভাগ বসান বাবর। তিনি আপাতত তালিকায় যুগ্মভাবে চার নম্বরে রয়েছেন।
পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন হিসেবে সবচেয়ে বেশি ওয়ান ডে ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড রয়েছে ওয়াসিম আকরামের। তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিতে নেমে মোট আটটি ওয়ান ডে ম্যাচে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। যুগ্মভাবে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ইমজামাম উল হক ও মইন খান। উভয়েই পাকিস্তানের ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন হিসেবে চারটি করে ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন। তিন নম্বরে রয়েছেন মিসবাহ উল হক। তিনি পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন হিসেবে তিনটি ওয়ান ডে ম্যাচে শূন্য রান করেন। বাবর ২ বছর পরে ওয়ান ডে ক্রিকেটে শূন্য রানে আউট হলেন। তিনি ৫০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষবার খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন ২০২১ সালের জুলাইয়ে কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন হিসেবে মোটআট৮টি আন্তর্জাতিক ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলেন বাবর। এই নিরিখে তিনি পাকিস্তানি অধিনায়কদের মধ্যে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। ইনজামাম ও মিসবাহও পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন হিসেবে আটটি করে আন্তর্জাতিক ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। আক্রম ১০ বার শূন্য রানে আউট হয়ে এই তালিকারও শীর্ষে রয়েছেন। বাবর আজম পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন ও সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবে মোট ১৬ বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শূন্য রানে আউট হন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস