গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটিতে নতুন ৪৩ জনকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত সোমবার দলের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এ ৪৩ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নতুন সদস্যদের মধ্যে একজন সাবেক সংসদ সদস্যসহ, আইনজীবী, প্রকৌশলী, অধ্যাপক, চিকিৎসক, উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন।
নতুন সদস্যরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য সাফি মাহমুদ, প্রকৌশলী ফাহিম, আহমেদ ইসমাইল বন্ধন, জিয়াউর রহমান জিয়া, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শিমুল, ব্যারিস্টার হাসান মাহমুদ, মাহমুদুল হাসান (বাবু), আবুল বশর, রাহাত জাহান, মোজাম্মেল মিয়াজি, তৈমুর রহমান বাঁধন, নাহিদা খানম, লিঙ্কন চৌধুরী, অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, নুরুল হুদা, মোহাম্মদ ইমাম উদ্দিন, তৌফিকুর রহমান, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, ইকবাল হোসাইন সুমন, সুরাইয়া আকতার, আরিফ বিল্লাহ, আব্দুল আজিজ, প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, আজাদ কাহালু, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, মো: ইমাম হোসেন সেলিম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মো: রাসেল হোসেন, শারমিন আক্তার শাখী, সৈয়দ অহিদুজ্জামান, আমানুল্লাহ আল মারুফ, মো: ইয়াকুব আলী, সুলতান মাহমুদ সরদার, হুসাইন নাজমুল, ডা. এনামুল হক সবুজ, রায়হান উদ্দীন মজুমদার, নাছির উদ্দীন খান, আব্দুন নুর তালুকদার, প্রকৌশলী ওমর ফারুক, শামীম মাহবুব, মো: শামীম রেজা, কাজী হালিম, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (জিহান)।
উল্লেখ্য, আত্মপ্রকাশের সময় গণঅধিকার পরিষদ ১০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছিল। পরে সেখানে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও অধ্যাপকসহ ১৯ জনকে যুক্ত করা হয়। সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদে অসচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে অস্বীকার করায় এবং দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দলের সাবেক সদস্য সচিব নুরুলহক নুরকে সাময়িক অব্যহতি দেন দলটির আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। সেই সাথে দল ভাঙনের চেষ্টা করায় আরো ৩০ জনকে সাময়িক অব্যহতি দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এরপর নতুন করে ৪৩ জনকে দলের আহ্বায়ক কমিটিতে সংযুক্ত করা হলো।