বাংলাদেশ আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, সাংবাদিকগণ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন। অর্থ ছাড়া কেই চলতে পারবে না। পেটে ক্ষুধা থাকলে সংবাদপত্র বা অন্য কিছুই মনে আসবে না। আপনারা নিজেকে সু-প্রতিষ্ঠিত করুন এবং আগামীতে সরকারের যে উন্নয়ন প্রকল্প সেগুলো নিয়ে সংবাদ প্রচার করুন, তাহলে আমার পক্ষে কাজ এগিয়ে নিতে সুবিধা হবে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সভাপক্ষে অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণের সমাপন ও সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠিানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, জেলায় শুনলাম সাড়ে ৩শ সাংবাদিক আছেন। এত সাংবাদিকের কি কাজ। বেকার সমস্যা সমাধান করতে পারিনা বিধায় এত সাংবাদিক সৃষ্টি হয়েছে। যদি আমরা কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড যেমন, সিল্ক কারখানা পুরোদমে চালু, বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতে পারি, তাহলে আমার বিশ্বাস বেকারত্ব কমে আসবে। সংবাদপত্র মালিকগণ যদি অর্থ না দেয় সাংবাদিকদের সংসার কেমন করে চলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে ২ বার অনুদান দিয়েছেন। আমরা চাই প্রত্যেকটা সাংবাদিক যারা বস্তুনিস্ট সংবাদ পরিবেশন করে, তারাই প্রকৃত সাংবাদিক। তারাই সমাজের দর্পন, আয়নার মত। যে কোন স্থানে ঘটনা ঘটলে তা সংবাদপত্রে পাঠিয়ে দেই, তা সার্কুলেশন হয়। ছোট একটা দেশ। মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইলের মধ্যে ২ হাজার ৯শ সংবাদপত্র সার্কুলেশন হচ্ছে, এটা ভাবতেই যেমন খারাপ লাগে। নির্বাচনকে ঘীরে অনেকে ভুল তথ্য প্রচার করেন, এগুলো না করলেই ভাল হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় হয়তো সাংবাদিকগণ অনেক ভাল কিছু শিখেছেন। এখানে শিক্ষার হার অনেকে বেড়েছে। তবে কাজ দিতে পারি না। কারণ আমাদের এখানে সেই রকম কল-কারখানা নাই।
প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’র আয়োজনে প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: সোলেমান আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, বিশেষ অতিথি ঠাকুরগাঁও প্রেস কাবের সভাপতি মনসুর আলী, জেলা আ’লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, পিআইবি’র কনিষ্ঠ প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলম প্রমুখ। শেষে অংশগ্রনকারী সাংবাদিকদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।