নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় আইনি লড়াইয়ে না যাওয়ার ঘোষণা থেকে সরে এসেছেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে আইনি লড়াই করতে অ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে কোর্টে যাবেন বলে ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে মামলা না লড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন সিনিয়র এই আইনজীবী। পরে সন্ধ্যায় সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ঢাকা মেইলকে বলেন, আজ সন্ধ্যায় আমার চেম্বারে এসেছিলেন কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি কাল থেকে আবারও কোর্টে যাব। তাদের পক্ষে আইনি লড়াই করব।
কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষ থেকে আলোচিত এই মামলায় লড়তে নতুন করে এক আইনজীবীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি হলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। তাকে নিয়োগের খবরের পর সাংবাদিকদের ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলায় আইনি লড়াইয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খুরশিদ আলম খান বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলায় আইনি লড়াইয়ে যাব না।
ওই সময় সিনিয়র এই আইনজীবী আরও বলেছিলেন, ‘শুরু থেকেই আমি মামলাটি করে আসছি। শুধু শ্রম আদালত নয়, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে আমি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলাটি করে এ পর্যায়ে এনেছি। এখন আমি মামলাটি একাই করতে চাই। তবে ক্লায়েন্টকে বলেছি আমাকে না হয় উনাকে যেকোনো একজনকে রাখবেন। দু’জনকে রাখলে আমি থাকব না।’
খুরশীদ আলম আরও বলেছিলেন, ‘একটি মামলায় দুইজন আইনজীবী লড়লে মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তা আমার জন্যও কষ্টের। আমাকে হাইকোর্ট-আপিল বিভাগ ফেলে আপনাদের মামলার জন্য যেতে হয়। আপনাদের যদি অন্য আইনজীবী থাকে তবে তিনি এটি লড়ুক, আমার কোনো সমস্যা নেই।’
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই মামলায় লড়ছেন খুরশীদ আলম খান। শ্রমিকদের পাওনার টাকা পরিশোধ না করায় ১৮টি মামলা হয়েছে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে। গত ২৮ আগস্ট ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ জন শ্রমিক বাদী হয়ে পৃথকভাবে মামলাগুলো করেন। শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা মামলাগুলো গ্রহণ করে আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ড. ইউনূসকে হাজির হয়ে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।