চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নির্বাচিত হয়েছেন পটিয়া থানার প্রাক্তন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত মাসিক কল্যাণ ও আইনশৃঙ্খলা সভায় তাঁর হাতে সম্মাননা সনদ তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ। জানা যায়, আগস্ট মাসে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদকদ্রব্য জব্দ, সাজাপ্রাপ্ত ও বিভিন্ন ওয়ারেন্টভুক্ত অসংখ্য পলাতক আসামি গ্রেফতার এবং উপজেলার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক কাজের মূল্যায়নের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে রাশেদুল ইসলামকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ওসি রাশেদুল ইসলাম গত ১৯ জুলাই লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব নেন। থানায় যোগদানের পর কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করে মাদক, ছিনতাই, চুরি ও চুরিকৃত পণ্য উদ্ধারসহ বেশ কিছু মামলার আসামি ও অপরাধীদের আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সব সময় জনগণের বন্ধু হিসেবে জনগনের পাশে রয়েছে। কিছু কিছু পুরস্কার মানুষের কর্মস্পৃহা যেমন বাড়িয়ে দেয় তেমনি কর্মক্ষেত্রে দায়বদ্ধতার পরিমান ও বাড়িয়ে দেয় বহুগুন। কাজের স্বীকৃতি পাওয়াটা আনন্দের। স্বীকৃতি পেলে কাজের গতি বাড়ে, আনন্দ পাওয়া যায়। আমি মনে করি, আমার সেই কাজের স্বীকৃতিই আমি পেয়েছি। এই অর্জনে আমিও আনন্দিত। পাশাপাশি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। ওসি রাশেদুল ইসলাম ২০১০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে উপ-পরিদর্শক পদে যোগ দেন। ২০১৯ সালে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং, পতেঙ্গা, ইপিজেড, বায়েজিদ ও পটিয়া থানায় দায়িত্ব পালন করেন। এরআগে ২০২২ সালের মার্চ মাসে রাশেদুল ইসলাম পটিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) থাকাকালীন অভিন্ন মানদন্ডের আলোকে চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নির্বাচিত হন। ২০২২ সালের ১২ মে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মাসিক অপরাধ সভায় তাঁকে এ পুরষ্কারে ভূষিত করেন তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক। ওসি রাশেদুল ইসলাম সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে সততা, নিষ্ঠা এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারেন। উল্লেখ্য, তিনি এর আগে পুলিশ পরিদর্শক থাকা কালীন শ্রেষ্ঠ উপ পরিদর্শক হিসেবে ভূষিত হয়েছিলেন। আসামী গ্রেফতার, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ক্লু-লেস মামলার রহস্য উদঘাটন এবং ভাল কাজের ফল স্বরুপ বিভিন্ন সময় তিনি পুলিশ সুপার কতৃক পুরুষ্কৃত হয়েছিলেন।