কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলামুখী সড়কে সংস্কারের অভাবে পিচ ঢালাই উঠে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত হয়ে আছে । এ সড়কে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে সড়কজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে খানাখন্দের। এতে পথচারীসহ যানবাহনের যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,উপজেলার সদর বাজার থেকে উপজেলা পরিষদ হয়ে সাবরেজিস্টার অফিস পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। অধিকাংশ জায়গা খানাখন্দে ভরা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে সড়কে। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। খানাখন্দের পাশাপাশি এ সড়কের ছোট-বড় গর্তের কারণে হরহামেশাই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ভাঙাচোরা এ সড়ক সার্বক্ষণিক কাদা পানিতে পরিণত হচ্ছে। এতে করে পিচ ঢালাই উঠে বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে আরও গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এই সড়ক দিয়েই প্রতিদিন ইউএনও অফিস, উপজেলা পরিষদ, প্রকৌশলী, উপজেলা প্রশাসনের অন্যসব অফিসে অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। প্রসূতি মাসহ অসুস্থ রোগীদেরও এই সড়ক দিয়েই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দের মধ্যেই চলাচল করার কারণে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় লোকজন ও এ সড়কে যাতায়াত করা জনসাধারণের মধ্যে। ভারি বৃষ্টি হলে এই ভাঙা স্থানগুলোতে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায় বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। এ সড়কের কয়েকজন সিএনজি ও অটোরিকশা চালকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এই পথে চলতে গিয়ে আমাদের মাঝে মাঝে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। যানবাহন প্রায়দিনই বিকল হয়ে যায়।ফলে গোটা দিনের রোজগারই চলে যায় তা মেরামত করতে। খুব ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে গিয়ে সময়েরও অপচয় হয়। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে যেতে হলে যেন যুদ্ধ করতে হয়। কোনো গাড়িতে চড়ে যেতেও দুর্ঘটনার ভয় লাগে। আবার কাদাপানির মধ্য দিয়ে হাঁটাও বিড়ম্বনার। খুব বিপদে আছি আমরা। উপজেলার প্রধান সড়ক হওয়ায় বাধ্য হয়েই প্রতিনিয়ত আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে, কিন্তু এই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি। মাঝে মাঝে ছোট-বড় দুর্ঘটনারও শিকার হতে হচ্ছে আমাদের। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবিও জানান তিনি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডির ব্রাহ্মণপাড়া উপব্জেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আবদুর রহিম এপ্রতিবেদক কে বলেন, উপজেলা সদরের এ সড়কটির বিষয়ে দু’বার প্রতিবেদন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি, সড়কটি সংস্কারের বিষয়টি অনুমোদিত হয়নি। তারপরও সড়কটি সংস্কারের জন্য আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।