চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির দাঁতমারায় ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১০) সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের নিচিন্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিমের পিতা নুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী স্থানীয় মাদরাসার ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় জড়িত রাসেলের সহযোগী মারুফকে আটক করেছে পুলিশ। ভিকটিমের পিতা নুরুল আলম জানান, নিচিন্তা গ্রামের মৃত জার্মানীর ছেলে রাসেল ইরফান মাদরাসায় আসা যাওয়ার পথে তাঁর মেয়েকে প্রায়ই সময় উত্যক্ত করতো। এ বিষয়ে রাসেলকে সতর্ক করেন ভিকটিমের পিতা নুরুল আলম। কিন্তু তাতেও ক্ষ্যান্ত হয়নি। সর্বশেষ গত রোববার ভিকটিম নিচিন্তা বকসু মিয়া সওদাগর বাড়ীর পাশে রাবার বাগানের রাস্তা দিয়ে মাদরাসা থেকে বাড়ী যাওয়ার পথে তার পথরোধ করে রাসেল। এসময় মারুফ নামের রাসেলের এক বন্ধুর সহায়তায় ভিকটিমকে মুখে গামছা গুঁজে দিয়ে টেনে হিঁচড়ে পাশের পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমের পড়নের বোরকাসহ মুখের হিজাব টেনে ছিড়ে ফেলে তাকে ধর্ষন করে রাসেল পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ভিকটিমের কান্নার শব্দ শুনে পথচারী লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এর পর বিষয়টি ভিকটিমের পিতাকে জানালে গ্রামবাসী মিলে রাসেলকে ধাওয়া দিলে রাসেল পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ভিকটিমের পিতা নুরুল আলম রাতে ভুজপুর থানায় গিয়ে রাসেল ও মারুফের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দাঁতমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জানে আলম বলেন, এক মাদরাসা শিক্ষার্থী ধর্ষিতা হওয়ার খবর মেয়ের পিতা জানিয়েছে। বিষয়টি ওসি ভুজপুরকে অবহিত করেছি আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। এদিকে গত মঙ্গ্লবার ঘটনায় জড়িত রাসেলের সহযোগী মারুফকে আটক করেছে দাঁতমারা তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মনির। মুল হোতাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন মামলার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে জানতে ভূজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।