স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, গত বছর (২০২২সালে) দুর্গাপূজায় মণ্ডপ ছিল ৩২ হাজার ১৬৮টি। এ বছর (২০২৩) সালে এ পর্যন্ত মোট পূজামণ্ডপের সংখ্যা ৩২ হাজার ৪০৭টি। এ বছর বেড়েছে ২৩৯টি পূজা মণ্ডপ। এটা যাতে আর না বাড়ে সেজন্য পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের অনুরোধ করা হয়েছে। কারণ এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার একটা বিষয় রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, পূজার সময়ে প্রায় বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সেসব যাতে আর না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব পক্ষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদ কর্তৃপক্ষ সারা দেশের স্বেচ্ছাসেবক রাখবে। অন্যদিকে সারাদেশে প্রায় দুই লাখ আনসার মোতায়েন করা হবে পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায়। ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিশেষ নজর রাখবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পূজা মণ্ডপগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি আইপি ক্যামেরা বসানোর জন্য বলা হয়েছে। সীমান্তে বিজিবি, উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ সতর্ক থাকবে। অগ্নি দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস সতর্ক থাকবে। সারাদেশে জেলা উপজেলায় পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে কেউ গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক থাকবে।
তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনা ও এডিসি হারুনের সাজা নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির বিষয়টি কীভাবে সম্পন্ন হবে সেটা পরে জানাতে পারবো। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদারকি করছে। এরপরই তারেক রহমানসহ অন্যান্যদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি সামনে আসবে। তবে এটা এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেটা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার বিভাগীয় মামলা এবং ভিকটিম যদি মামলা করেন তখন আইন অনুযায়ী গ্রহণ করা হবে।