সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
সদরপুরে বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন সোনালী আঁশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হাজী দিদার পাশার পক্ষে আলোচনা সভা পঞ্চগড়ের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মণের বদলীর দাবীতে মানববন্ধন নগরকান্দায় ভূত আতংকে অসুস্থ হয়েছে শিক্ষার্থীরা ডিমলায় ১০০ পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও অর্থ বিতরণ ভয় পাবার কোন কারণ নাই, আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতার সমাধিতে যুব লীগের চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা নিবেদন টিয়া পাখির মতো আপনাদের কাছে প্রিয় হয়ে থাকতে চাই-সাংবাদিক বাবু পলাশবাড়ী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির ত্রি বার্ষিক নির্বাচন কুয়াকাটায় মধ্যরাত থেকে শুরু মাছ ধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা

মালিকের বিরুদ্ধে কর্মচারীর সংবাদ সম্মেলন

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ১নং ইউপি চেয়ারম্যান কাওছার রহমানের বড় ভাই মিজানুর আলমে বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার দোকানের কর্মচারী ইফতেফারুল ইসলাম। ৫১ লাখ টাকা দাবি করে দুইদিন দোকানে আটকে রেখে নির্যাতন ও প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে এই মিজানুর আলম। এই প্রভাবশালীর হাত থেকে বাঁচতে থানায় অভিযোগ, আদালতে মামলাসহ সংবাদ সম্মেলন করেন এই ভুক্তভোগী ইফতেফারুল ইসলাম। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় হাকিমপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ইফতেফারুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে ইফতেফারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমি মোঃ ইফতেফারুল ইসলাম, পিতা মৃত নাসির উদ্দিন, গ্রাম চকবিরভান হাকিমপুর। আমি দীর্ঘ ১৮ বছর এসিআই কোম্পানি, মামুন এগ্রো কোম্পানি বাহার গ্রুপ ও এমকো কোম্পানিতে সততার সহিত চাকুরি করেছি। বিগত ৭ বছর যাবৎ উপজেলার চকভবানি গ্রামের মৃত আশরাফ আলী মন্ডল ও বর্তমান ঐইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাওছার রহমানের বড় ভাই মিজানুর আলমের মেসার্স রোজ ট্রেডার্সে চাকুরি করে আসছি। ২৫ বছর চাকুরির অর্জিত টাকা, জমি বিক্রি ও মংলা বাজারের দুইটি দোকান ঘর মিলে মোট ২১ লাখ টাকা বিক্রি করি। এসব টাকা দিয়ে আমি ৭৫ শতাংশ জমি ক্রয় করি এবং ৪ বিঘা জমি বন্ধক নেয়। সম্প্রতি আমার শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাদের দোকান থেকে চাকুরির ইস্থফার ঘোষণা দেয়। পরে মিজানুর আলম আমার সাথে বিভিন্ন তালবাহা দিতে থাকেন। গত ৭ আগস্ট তারিখে তার দোকানে দুইদিন আমাকে আটককে রাখে নির্যাতন করেন এবং আমার নিকট ৫১ লাখ টাকার দাবি করেন। পরের দিন মিজানুর আলমের ভাতিজা বুলবুল ও তার এক ভাই রন্জুসহ আমাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয়-ভিতি দেখিয়ে টাকার দাবি করে। আমার নিকট কোন টাকা নেই বললে আমার ফোন দিয়ে আমার স্ত্রীর নিকটে জমির দললি ও ব্যাংক চেক দিতে বলায়। আমি নিরুপায় হয়ে আমার স্ত্রীকে দিতে বলি। তারা তাতে ক্ষান্ত হয়নি, পরে ৩০০ টাকার ফাঁকা স্ট্যামে আমার সাক্ষর নেয়। তারা প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। পরে গত ৩০ আগস্ট দিনাজপুর আদালতে মিজানুর আলমকে আসামি করে মামলা করি। এছাড়াও হাকিমপুর ও বিরামপুর থানা ব্যাংক চেকের উপর অভিযোগ দায়ের করি। এসব কারণে আসামিরা আমার উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। আমি বর্তমান বড় অসহায়, চরম ভয়-ভতির মধ্য দিয়ে চলাচল করছি। এবিষয়ে মুঠোফোনে মেসার্স রোজ ট্রেডার্সের মালিক মিজানুর আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার সাক্ষর জাল করে এই ইফতেফারুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। তবে এবিষয়ে আমি তাকে কোন প্রকার নির্যাতন বা হুমকি-ধমকি দেয়নি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com