রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়া ভিসা সেন্টারে আবেদন করার ৪৫ দিন পর পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই ফেরত! ভিসা জটিলতার সমাধান চায় ভুক্তভোগীরা

রফিক কুষ্টিয়া
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশের মানুষের নানা কারণে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে যেতে হয়। অনেকের জন্য এটা এতটা জরুরী যে, ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোয় উপচে পড়া ভিড় দেখেই অনুমান করা যায়। মেডিকেল ভিসা, বিজনেস ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ট্রানজিট ভিসাসহ প্রতিদিন আবেদনকারীর সংখ্যা অনেক। ভুক্তভোগীরা বলছেন, একসময় ভারতীয় ভিসা দিনে দিনে পাওয়া যেত। সকালে ভারতীয় দূতাবাসে আবেদন জমা দিলে বিকেলেই পাওয়া যেত ভিসা। পাকি¯’ান আমল তো বটেই, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও বেশ কয়েক বছর শুধু ভারত ভ্রমণের জন্য এক পাসপোর্ট ছিল; আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য আরেক পাসপোর্ট।ক্রমান্বয়ে ভারতে যাওয়ার আলাদা পাসপোর্ট বিলুপ্ত হয়ে একক আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট হয়েছে। তবে সমস্যা হলো, ভারতীয় ভিসা পেতে এখন এক দিনের পরিবর্তে দুই থেকে দুই মাসের চেয়েও বেশি সময় লাগছে। শুধু আবেদন করে জমা দেয়ার জন ভুক্তভোগীদের ৪০ থেকে ৫০ দিন কখনো তারও বেশি।এবার জমা দেবার পর ভিসা পেতে অপেক্ষা করতে হবে ৩০-৪৫ দিন। এর ফলে অনেকটা সময় ধরে পাসপোর্ট আটকে থাকছে, যা আবেদনকারীর জন্য ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। অনেকেই এটাকে আপত্তিকর’ বলে অভিহিত করছেন। যেমনটা বলছেন একজন ব্যবসায়ী । সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ভারত ভ্রমণ বা চিকিৎসার জন্য ভিসার আবেদন করার পর ৪০ দিন পাসপোর্ট আটকে থাকা শুধু ভোগান্তি কর নয়, আপত্তিকরও। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘসময় একজন মানুষের ধ্যানজ্ঞান শুধু ভারত ভ্রমণ হতে পারে না। জরুরী প্রয়োজনে ভারত ছাড়া অন্যত্র যাওয়ার আবশ্যকতা থাকতেই পারে। সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ ভারতীয় দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে। কিন্তু এক মাস বা তারও বেশি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় ভিসা দেয়ার বিষয়ে ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। ওই স্মারকে ৬৫ বছরের ওপরের ব্যক্তিদের পাঁচ বছর মেয়াদি ও তার কম বয়সীদের জন্য এক বছর মেয়াদি মাল্টিপল ভিসা দেয়ার সমঝোতা হয়েছিল। সাম্প্রতিককালে দেখা যা”েছ ৬৫ বছরের উপরের ব্যক্তিদের এক বছর মেয়াদি ও তার কম বয়সীদের কাউকে তিন মাস, কাউকে ছয় মাস, কাউকে আবার এক বছর মেয়াদি সিঙ্গেল/ডাবল মাঝেমধ্যে মাল্টিপল ভিসা দেয়া হচ্ছে। ফলে ভিসাপ্রার্থীদের ঘনঘন ভিসার আবেদন করতে হচ্ছে। এতে ভিড় বাড়ছে, আবার ভিসা প্রসেসিং সেন্টারে কাজের চাপও বাড়ছে। ভারতীয় ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ভুক্তভোগীরা বলেন, হচ্ছে করেই আবেদন প্রক্রিয়ায় ত্রুটিপূর্ণ করে রেখেছে, যাতে মানুষের একবারের জায়গায় ২-৩ বার আবেদন করতে হয়। মাথাপিছু ৮৪০ টাকা হারে আবেদন ফি বা ভিসা প্রসেসিং ফি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। আবেদনপত্রে সবকিছু ঠিক থাকলেও বেশির ভাগ আবেদন বাতিল করে দেয়া হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের মানুষের কোটি কোটি টাকা লুকসান গুনতে হচ্ছে ।এই ভিসা জটিলতার কারণে বাংলাদেশ এবং ভারত সরকারের রাজস্ব কমছে। ভিসা জটিলতা ও স্থলবন্দরের হয়রানির কারণে পর্যটক কমে যাচ্ছে ভারতে। তাছাড়াও কলকাতায় বাংলাদেশের পর্যটক কমে যাওয়ায় কলকাতার ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ। ভিসা জটিলতার সমস্যাগুলো দ্র“ত সমাধানের উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ সরকার এবং ভারত সরকার এটাই ভুক্তভোগীদের প্রত্যাশা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com