বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, দেশের সবচেয়ে বড় রোগের নাম আওয়ামী লীগ। সব রোগের ওষুধ আছে এই রোগের ওষুধ নেই। এ রোগ থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে হলে এ সরকারের পদত্যাগই একমাত্র ওষুধ।
তিনি বলেন, কেউ কোনো রোগে আক্রান্ত হলে সে ব্যক্তি অথবা তার পরিবার অশান্তিতে থাকেন, আজ এই সরকারের কারণে সারাদেশ অশান্তিতে আছে।
গতকাল বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এক যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, আব্দুস সাত্তার, এসকে সিকান্দার কাদের, হাজী মনির হোসেন, যুবদল দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ পাপ্পা শিকদার, শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূঁইয়া, সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, ছাত্রদলের আহ্বায়ক পাভেল শিকদার, সদস্য নিয়াজ মাহমুদ নিলয়সহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।
সালাম বলেন, আজকে উচ্ছিষ্টভোগীদের নিয়ে সরকার বিএনপিতে ভাঙন ধরাতে চায়। বিএনপি হচ্ছে সমুদ্র। এখান থেকে এক মগ পানি গেলে সাগরের কিছু হয় না। আর এ সমুদ্রের জল হচ্ছে জনগণ। এই সমুদ্রের জলে সকল অন্যায়-অবিচার এবং দুঃশাসন ভেসে যাবে, দেশে প্রতিষ্ঠিত হবে গণতন্ত্র, মানুষ ফিরে পাবে বাকস্বাধীনতা।
লিটন মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, মানুষ আজ সরকারের দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। মুক্ত মনে কথা বলতে চায়। মুক্ত মনে নিঃশ্বাস নিতে চায়। এই বন্দীশালা থেকে মুক্তি চায়। তাই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও দেশপ্রেমিক জনতাকে শপথ নিয়ে রাজপথে নামতে হবে। এছাড়া স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে আর কোনো বিকল্প পথ নেই।