শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন

জেলা পরিষদের গাছের ডাল ভেঙে পড়ে গঙ্গাচড়া নোহালী সপ্রাবির শিক্ষক ও তার শিশু কন্যার মৃত্যু

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

রংপুর জেলা পরিষদের পুরাতন শুকনা গাছের ডাল ভেঙে মাথার উপরে পড়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে সহকারী এক শিক্ষক ও তার শিশু কন্যা সন্তানের। মৃত শিক্ষক হলেন গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের বিদিতর হরিথানা এলাকার ব্রজেন্দ্র নাথ সরকারের স্ত্রী ও নোহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (সপ্রাবি) এর সহকারী শিক্ষক কৃষ্ণা রানী সরকার এবং তার ১০ বছরের কন্যা সন্তান রাজশ্রী সরকার। অক্ষত অবস্থায় আছেন মৃতের ৬ বছরের কন্যা সন্তানসহ স্বামী। মৃত শিক্ষকের সহকর্মী সূত্রে জানা যায়, সহকারী শিক্ষক কৃষ্ণা রানীর স্বামী ব্রজেন্দ্র নাথ সরকার রংপুর শহরে একটি বেসরকারি স্কুলে চাকুরী করার সুবাদে শহরে বসবাস করতো। প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বাসা হতে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে স্বামীর সাথে দুই কন্যা সন্তানকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন পরশুরাম থানাধীন চব্বিশ হাজারী (কদমতলা) নামক স্থানে আসলে রাস্তার ধারে জেলা পরিষদের পুরাতন শুকনা গাছের ডাল শিক্ষক ও তার সন্তানের মাথায় ভেঙে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে সহকারী শিক্ষক কৃষ্ণা রানী ও তার ১০ বছরের কন্যা সন্তান রাজশ্রী সরকারে মৃত্যু হয়। তবে মোটরসাইকেল চালক স্বামী ব্রজেন্দ্র নাথ সরকার ও ৬ বছরের ছোট কন্যা সন্তান অক্ষত অবস্থায় আছেন। শিক্ষক কৃষ্ণা রানী ও সন্তান রাজশ্রী মোটরসাইকেলের পিছনে বসা ছিলো আর ছোট কন্যা সন্তান মোটরসাইকেলর টেমকিতে বসা এবং স্বামী মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলো। এদিকে এ মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যায় মৃতের পরিবারে। অপরদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলায় এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা পরিষদের কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মানুষজন। গঙ্গাচড়ার মানুষজন জানান, রংপুর শহর হতে গঙ্গাচড়া আসা মেইন রাস্তার দু’ধারে এবং গঙ্গাচড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দু’ধারে জেলা পরিষদের অনেক পুরাতন গাছ রয়েছে। গাছগুলোর সঠিক সময়ে পদক্ষেপ না নেওয়ায় অনেক গাছ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে, আবার শুকিয়ে আছে, আবার অনেকগুলো নষ্ট হচ্ছে। এসব নষ্টের আগে কর্তৃপক্ষ নিলামে বিক্রি করলে সরকার যেমন রাজস্ব পেত তেমিন দুর্ঘটনা থেকে মানুষ রক্ষা পেত। আবার নুতন করে গাছ লাগানো যেত। গঙ্গাচড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম লেবু বলেন, তার ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে জেলা পরিষদের গাছ ভেঙে পড়ে মানুষের বাড়ি ও দোকানের ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নবনীদাসে কাশেমের বাড়ি, হর্টিকালচারের আশরাফুলের বাড়ি মধ্যপাড়ায় মকবুল মাচুয়ার বাড়িতে জেলা পরিষদের গাছ ভেঙে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন দোকানের উপর ডাল পড়ে দোকানের ক্ষতি হয়। তিনি জরুরী পদক্ষেপ নিতে জেলা পরিষদের কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান। বেতগাড়ীর আলম জানান, তাদের এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থানে পুরাতন শুকনা গাছ ভেঙে পড়ে মানুষের বাড়ি ও দোকানের ক্ষতি হয়েছে। জেলা পরিষদের সদস্য মমিনুর ইসলাম শিক্ষক ও তার কন্যার মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতিসমবেদনা জানিয়ে বলেন, জেলা পরিষদের আওতাধীন পুরাতন ও শুকনো গাছের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবগত করাবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com