বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশ বাঁচাতে, মানুষ বাঁচাতে তরুণ সমাজ আজ জেগে উঠেছে। এ সরকারকে আর কোনো শক্তিই রক্ষা করতে পারবে না। তিনি বলেন, তারুণ্যের যে রোডমার্চ শুরু হয়েছে তা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট অভিমুখে তারুণ্যের রোডমার্চের যাত্রাপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে নেতকর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকালে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থেকে এ রোডমার্চ শুরু হয়। রোডমার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার হয়ে সিলেট গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এই রোডমার্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রোডমার্চ কমসূচিকে স্বাগত জানাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, সরাইল বিশ্বরোডের মোড় ও কুট্টাপাড়া এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়। এসময় তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এসময় বিশ্বরোড মোড়ে গাড়ি থেকেই নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি তার বক্তৃতায় আরো বলেন, “আমাদের আন্দোলন ‘ডু অর ডাই’। হয় বাঁচব, না হয় মরে যাব। সেজন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।” তিনি আন্দোলনের ফসল ঘরে না তোলা পর্যন্ত নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানান। রোডমার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমানায় পৌঁছলে দলের কেন্দ্রীয় অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খোকন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম ও যুবদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এন তরুন দে-সহ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নেতৃত্বে রোডমার্চকে স্বাগত জানিয়ে শোডাউন করা হয়।