বাংলাদেশ আইনুযায়ী ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করে সরকার কিন্তু কিছু দুর্বলতার কারণে আইনটি ততটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। তাই ২০১৩ সালের মে মাসে আইনটি সংশোধিত আকারে পাস হয়। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ পাস হয় সংশোধিত আইনের আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০১৫। সংশোধিত আইন ২০১৩ ও বিধিমালা ২০১৫-তে নারী-শিশুসহ সব অধূমপায়ীকে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার থেকে রক্ষায় কঠোর বিধান রাখা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ‘পাবলিক প্লেস’ ও ‘পাবলিক পরিবহনে’ ধূমপান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ওমর ফারুক দেশের এমন কঠোর আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রত্যেকদিন পরিষদে বসেই ধূমপান করে আসছেন।সে যেন সরকারি কোন নীয়মনীতির তোয়াক্কাই করেনা।শুধু কি তাই তিনি পরিষদে থাকাকালীন তার পরিচিত বা আতœীয়স্বজন কিংবা কোন জনপ্রতিনিধিরাও আসলে তাদেরকেও ধুমপানে উৎসাহিত করেন।যাকে বলা হয় চায়ের বদলে সিগারেট আপ্যায়ন। পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ওমর ফারুক তার অফিস কক্ষে প্রকাশ্যে ধূমপানের দৃশ?্য দেখা গেছে। সেবা নিতে আসা নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজনের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে সচিবের প্রকাশ্যে ধূমপানের চিত্র গণমাধ্যমকর্মীদের ক্যামেরায় ধরা পরে। এসময় দেখা যায়, ইউপি সচিব তার নিজের কক্ষে চেয়ারে বসে ঠোটে সিগারেট নিয়ে ধরিয়ে টানতেছেন । পাশেই দেখা যায় তার কাছে বিভিন্ন কাজে আসা ইউপির সাধারন জনগন বসে আছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, তিনি শুধু অফিস কক্ষেই নয় পরিষদে সেবা নিতে আসা লোকজনের সামনেও প্রকাশ্যে ধূমপান করেন। ইউনিয়ন পরিষদ একটি পাবলিক প্লেস, সেখানে ধূমপান করা অন্যায়। এতে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ বিব্রতবোধ করে দ্রুত পরিষদ ত্যাগ করে চলে যাওয়াকেই ভালো মনে করেন । ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষে প্রকাশ্যে ধূমপানের কারণে আগত জণসাধারণের ক্ষতি হলেও কিছু যেন করার নেই! এদিকে কার্যালয়ে বসে সরকারি আইন ভেঙ্গে প্রকাশ্যে ধুমপান করার বিষয়ে জানতে চাইলে লাউকাঠী ইউপি সচিব ওমর ফারুক বলেন , আসলে আমার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা আমাকে খেতে বলছেন তাই আমি সিগারেট খাইছি । আমি বিকালে ঝাউতলা আইসা আপনার সাথে দেখা করবো বলে ফোনটি কেটে দেন। এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান ,সরকারি অফিস কক্ষে বসে ধুমপান করা যায় না। যদি কোনো রিপোর্ট বা লিখিত অভিযোগ পাই তাহলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।