চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হলে ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। এছাড়া পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটির হাতে নির্বাচন কমিশনের কোনো কাজ গেলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে বলে মনে করছেন সিইসি। গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আরএফইডি-টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাজের সমালোচনা করে সিইসি বলেন, সুপারিশে অনেক কিছু দেয়া যায়। বাস্তবায়ন করা কঠিন। সীমানা নির্ধারণে কমিশনের হস্তক্ষেপ না রাখার সুপারিশকে দ্বিমত প্রকাশ করে সিইসি বলেন, এটা ইসির এখতিয়ার। পার্লামেন্টারি স্টান্ডিং কমিটির মুখাপেক্ষী হলে ইসির ক্ষমতা খর্ব করা হবে। ভোটার হালনাগাদ এবং সীমানা নির্ধারণের জন্য ইসির বাইরে অন্য কারো হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।
সিইসি বলেন, ডিসেম্বরে ভোট করতে গেলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে। যদি সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয়, সেটা কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইসির নয়, বরং সরকারের বিষয়। স্থানীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে এক বছরের মত সময় লাগবে। যদি এসব নির্বাচন করতে হয়, তাহলে প্রধান উপদেষ্টার দেয়া সময়সীমার মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তা নির্ভর করছে শেষ পর্যন্ত দলটির নিবন্ধন থাকে কি না। তবে আওয়ামী লীগের বিষয় কমিশন নয়, বরং সিদ্ধান্ত হবে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে রাজনৈতিকভাবে।