কবি ও সাহিত্যিক আসাদ চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময় বুধবার রাতে) কানাডার টরেন্টোতে একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। কানাডার লেকেরিজ হেলথ অশোয়া হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কবির জামাতা নাদিম ইকবাল। তিনি জানান, আসাদ চৌধুরী বেশ কয়েক বছর ধরেই কানাডায় ছেলে ও মেয়ের সাথে ছিলেন। তিনি গত বছর নভেম্বর থেকে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন। কবি আসাদ চৌধুরীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তারা সবাই এখন টরন্টোয় আছেন বলে জানান জানা গেছে।
কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীকালে ঢাকায় স্থিত হবার পর তিনি বিভিন্ন খবরের কাগজে সাংবাদিকতা করেছেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ভয়েজ অব জার্মানির বাংলাদেশ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে দীর্ঘকাল চাকরির পর তিনি এর পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে। কবিতা: তবক দেওয়া পান (১৯৭৫); বিত্ত নাই বেসাত নাই (১৯৭৬); প্রশ্ন নেই উত্তরে পাহাড় (১৯৭৬); জলের মধ্যে লেখাজোখা (১৯৮২); যে পারে পারুক (১৯৮৩); মধ্য মাঠ থেকে (১৯৮৪); মেঘের জুলুম পাখির জুলুম (১৯৮৫); আমার কবিতা (১৯৮৫);
শিশুসাহিত্য: রাজার নতুন জামা (রূপান্তর, ১৯৭৯); রাজা বাদশার গল্প (১৯৮০); গ্রাম বাংলার গল্প (১৯৮০); ছোট্ট রাজপুত্র (অনুবাদ : ১৯৮২);
জীবনী : সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু (১৯৮৩); রজনীকান্ত সেন (১৯৮৯); স্মৃতিসত্তায় যুগলবন্দী (২০০১)।
কবি আসাদ চৌধুরীর ইন্তেকালে বিসিএ-এর শোক
কবি আসাদ চৌধুরীর ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করে গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমি ( বিসিএ)-এর সভাপতি আবেদুর রহমান ও সেক্রেটারি ইবরাহীম বাহারী। শোকবাণীতে তারা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, আসাদ চৌধুরীর কবিতায় স্বদেশপ্রেম, মানবাধিকার রক্ষার প্রত্যয় এবং স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী বিরোধী প্রতিবাদী চেতনা যুগ যুগ ধরে বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের উদ্দীপ্ত করবে।
তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে ধৈর্যধারণে মহান রবের নিকট তৌফিক কামনা করেছেন।