ভোটকে সামনে রেখে পরিবেশ ভালো রয়েছে দাবি করে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘তবে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল; সেটি এখনও হয়ে ওঠেনি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে কোনও সমন্বয়হীনতা নেই।’ গতকাল মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার কথা বলেন।
ভোটের পরিবেশ অনুকূল নিয়ে সিইসি অন্য কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করেননি বলে একজন নির্বাচন কমিশনার গণমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। এটি কি সমন্বয়ের অভাব—এমন প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবিব বলেন, ‘একজন সম্মানিত নির্বাচন কমিশনার উনার কথা বলেছেন। আমার কথা হচ্ছে তিনি সম্মানিত একজন ব্যক্তি। সমন্বয়হীনতা নেই, সমন্বয় অবশ্যই আছে।’ ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ আছে কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘থাকবে না কেন, অবশ্যই আছে। ভোটের পরিবেশ থাকবে না কেন, আমি বুঝতে পারছি না।’
এ কমিশনারের ভাষায়, ‘সিইসি বলেছেন—প্রত্যাশিত পরিবেশ অনুকূলে নেই। অতীতে কখনও কী সেটা ছিল? উনি প্রত্যাশিত বলেছেন। কখনও কি শতভাগ অনুকূলে অতীতে ছিল?’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন কমিশনার বলেছেন, অবশ্যই উনি যুক্তিসঙ্গত বলেছেন। আমি আমারটা বলছি, প্রত্যাশিত পরিবেশের কথা বলা হয়েছে। এ রকম প্রত্যেকটা নির্বাচনেই কিন্তু বলা হতো। ধারণাপত্রে কোনও অসত্য কথা বলা নেই।’
আগামী ২৬ অক্টোবর গণমাধ্যম সম্পাদকদের নিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করছে ইসি। এতে অতিথিদের পাঠানো আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে একটি ধারণাপত্রও পাঠিয়েছেন সিইসি। সেখানে বলা হয়েছে—‘আসন্ন সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে সরকার ও কমিশনের বিষয়ে কতিপয় রাজনৈতিক দলের গণমাধ্যমে প্রচারিত অনাস্থা কাটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণের আস্থা অর্জনের প্রয়াস আমরা অব্যাহত রেখেছি। তবে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল, সেটি এখনও হয়ে ওঠেনি। প্রত্যাশিত সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে মতভেদের নিরসন হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধানতম দলগুলো স্ব-স্ব সিদ্ধান্ত ও অবস্থানে অনড়। রাজপথে মিছিল, জনসমাবেশ ও শক্তি প্রদর্শন করে স্ব-স্ব পক্ষে সমর্থন প্রদর্শনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ওতে প্রত্যাশিত মীমাংসা বা সংকটের নিরসন হচ্ছে বলে কমিশন মনে করে না। বিষয়টি রাজনৈতিক। নির্বাচন কমিশনের এক্ষেত্রে করণীয় কিছু নেই।’