রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
আমার কথা বলে চাঁদা-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে পুলিশে দিন : আসিফ নজরুল তিস্তার পানি দ্রুত বাড়ছে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন মাহমুদুর রহমান ঢাকার খাল দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার : পানিসম্পদ উপদেষ্টা শিক্ষাব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না : মামুনুল হক নৌকা থাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন হতে পারে : উপদেষ্টা আদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও সবাই একসঙ্গে জাতি গঠনে কাজ করবে: মঞ্জুরুল ইসলাম জাতিসংঘে ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা মাহমুদ আব্বাসের মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আব্দুল গফুরের দাফন ছাত্র-জনতার অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয় স্বৈরাচার থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছে

মৌসুমের শুরুতেই শঙ্কায় পর্যটন পর্যটক শূন্য কুয়াকাটায়

এনামুল হক (কলাপাড়া) পটুয়াখালী
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত সাগরকন্যা কুয়াকাটা সাগরতীরে অবস্থিত আবাসিক হোটেল সৈকত ৪০টি কক্ষ। এর মধ্যে আজকের (মঙ্গলবার) জন্য ৫টির বেশি কক্ষ বুকিং করেছিলেন পর্যটকরা। বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তিন দিনের অবরোধ ঘোষণা করায় ৫টি কক্ষের বুকিং বাতিল হয়েছে বলে জানান কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. জিয়া রহমান। হঠাৎ রাজনৈতিক অস্থিরতা পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই হোটেল ব্যবসায় ধস নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। কুয়াকাটা পর্যটকে মুখরিত হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, ট্যুরিজমসহ বিভিন্ন স্তরের ব্যাবসায়ীদের এখন বেহাল দশা। পর্যটন নির্ভরশীল ব্যবসায়ীরা এখন হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। পাশাপশি ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা কাটাচ্ছেন অলস সময়, ভূগছেন হতাশায়। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতের হোটেল সৈকত কর্মীর সংখ্যা ২০। তাদের পারিশ্রমিক, বিদ্যুৎ বিলসহ দৈনিক অন্যান্য খরচের পরিমাণ ২০০০০ হাজার টাকার মতো। এ তথ্য জানিয়ে হোটেলের পরিচালক শেখ মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমার হোটেলে মোট ৪০টি কক্ষ। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারের জন্য চার-পাঁচ দিন আগেই ৭০ শতাংশ কক্ষ বুক হয়ে যেত। কিন্তু চলতি সপ্তাহে বড় ধাক্কা খেয়েছি।’ বিএনপির শনিবারের মহাসমাবেশ থেকে হরতালের ঘোষণা, পরে অবরোধের কর্মসূচি দেওয়ার পর সব বুকিং বাতিল হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত যে বুকিং ছিল এতে অন্তত ৫০০০০(পঞ্চাশ হাজার টাকা) আয় হতো। কিন্তু আয় নিয়েও শঙ্কিত। অথচ এই সময়ের অনেক টাকা খরচ করতে হবে তাঁকে। এমন অবস্থা চললে হোটেল বন্ধ করতে বাধ্য হবেন। এতে কর্মীরা কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়বেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় পর্যটকদের ভালো সাড়া মিলছিল। কিন্তু অবরোধসহ রাজনৈতিক পরি¯ি’তির কারণে কিছুটা ভাটা পড়েছে। একই অবস্থা কুয়াকাটার ১৮০টি হোটেলের অবস্থাও একই রকম। কুয়াকাটা গেষ্ট হাউসের পরিচালক ও হোটেল কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মোতালেব শরীফ জানান,আমার হোটেলে কক্ষ রয়েছে ২২টি, ৭০ জন লোক থাকেতে পারে। যেভাবে হোটেল মালিক কর্মচারীদের বসিয়ে বেতন দি”েছন। এ পরিস্থিতিতে বহু কর্মী চাকরি হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। হরতাল-অবরোধের কারণে বুকিং একদম কমে গেছে। পর্যটকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণে আগ্রহী নন বলেই এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, দেশের পরিস্থিতির সঙ্গে কুয়াকাটার পর্যটন সম্পর্কিত। মৌসুমের শুরুতেই বড় ধাক্কা লেগে গেল। এখানে পেশায় সরাসরি পাঁচ হাজার লোক পর্যটন সেবায় জড়িত। এর সাথে পরিবারের লোক রয়েছে ২৫০০০ (পঁচিশ হাজার)। এভাবে চলতে থাকলে বেকারত্ব ও সরকারের আর্থিক ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মো. মোতালেব শরীফ বলেন, পর্যটনের সঙ্গে নিরাপত্তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের পরিস্থিতি নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কুয়াকাটায় পর্যটক আসবে না। এ কারণে আবাসিক হোটেলগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এ সময়টাতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। হোটেল-মোটেলে কোনো সিট ফাঁকা থাকে না। আর এ বছর মওসুম শুরুতে কুয়াকাটায় কোনো পর্যটক নেই। হোটেলের সব রুম খালি পড়ে আছে। হরতাল-অবরোধে পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা কুয়াকাটা স্থানীয় পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা জানান, ভরা পর্যটন মৌসুমের এই তিন মাসে তাদের লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখবে এ আশায় অপেক্ষা করে থাকেন। বর্তমানে তাদের সে আশার গুড়ে বালি। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পে ধস নামতে শুরু করেছে। কুয়াকাটা ট্যুরিজমের গাইড পরিচালক কে এম বাচ্চু বলেন, ‘আমাদের এখানে ২০টি ট্যুরিজম বোট রয়েছে। প্রতিটি বোটের ৪০ জন স্টাফ আছে। ট্যুরজম বোট মালিকরা তাদের স্টাফদের বেতন কীভাবে দেবে বর্তমানে তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। এভাবে হরতাল চলতে থাকলে স্টাফদেও ছাটাই করা হবে। সরকার ও বিরোধীদলকে সমঝোতার ভিত্তিতে বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানান কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com