সরকারের নাশকতা আশঙ্কার বক্তব্য জনগণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি বলেন, ‘চলমান অবরোধে সরকারের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সারাদেশে ব্যাপক নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করে যে বক্তব্য দিয়েছে তা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে জনগণের মধ্যে মারাত্মক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও ভীতির স ার করেছে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘দেশে ভয়াবহ নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করে সরকারের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মুখপাত্ররা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা দেশবাসীর মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও ভীতি স ারের অপপ্রয়াস মাত্র। আমরা তাদের এই বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকগণ সভা-সমাবেশ ও মিছিল-মিটিংয়ের মাধ্যমে তাদের দাবি-দাওয়া এবং কথা বলার সুযোগ পেয়ে থাকেন। শান্তিপূর্ণ হরতাল-অবরোধ হচ্ছে বিশ্বের যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আইনানুগ কর্মসূচি। এটা গণতন্ত্রকামী নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দলগুলো শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ এবং হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে নিগৃহীত-নিষ্পেষিত-বি ত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মসূচি পালন করে থাকে। জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের প্রায় সকল বিরোধীদল গণতন্ত্র ও নাগরিকদের ভোটাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করছে। আমরা দেশবাসী ও সরকারকে আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। জামায়াতে ইসলামী কোনো ধরনের নাশকতায় বিশ্বাস করে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে ঘিরে আশঙ্কা প্রকাশ করে নানা বক্তব্য দেয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপ্রিয় এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে, যা দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী কোনো নাশকতামূলক কাজ করতে পারে- তা কেউ বিশ্বাস করে না। দেশের জনগণ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠাকারী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক দল মনে করে। তাই জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।’
তিনি মনে করেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল, সঙ্ঘাত-সংঘর্ষ ও নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে না দিয়ে সরকার শুভ বুদ্ধির পরিচয় দেবে এবং জনগণের দাবি কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা মেনে নিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করে দেশে সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।’-প্রেস বিজ্ঞপ্তি