বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতারে ক্র্যাকডাউন শুরু হয়েছে অভিযোগ করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে ইসির চিঠি প্রেরণও ছিল আরেকটি তামাশা। আর নেতাকর্মীকে গ্রেফতারে ক্র্যাকডাউন মহাতামাশা!
গত শনিবার গভীর রাতে ঢাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম), আজ রোববার ভোরে রাজধানীর উত্তরা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং গতকাল ঢাকা থেকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্সকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকর্তৃক গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র দেশটাকে এখন বৃহৎ কারাগার বানিয়ে ফেলেছেন। একদিকে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। অপরদিকে সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেফতারে ক্র্যাকডাউন শুরু হয়েছে। এটি যেন এক মহাতামাশা! আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে ইসির চিঠি প্রেরণও ছিল আরেকটি তামাশা। আসলে সরকার নিজেদের অতি চালাক ভাবছে এবং সবকিছুতেই ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপিরসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের যেভাবে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাতে এটি সুস্পষ্ট যে আগামী নির্বাচন যেনতেন প্রকারে অনুষ্ঠিত করে আবারো রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিতে বদ্ধপরিকর অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।‘কিন্তু এবার আওয়ামী অবৈধ সরকারের এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দিবে না জনগণ। ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে প্রচ- ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণ আরো বলিয়ান হচ্ছে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ছাড়া জনগণ রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবে না।’
অবিলম্বে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম), আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।