বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন

বড় হার দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ হলো বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩

হার দিয়েই ভারত বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলো বাংলাদেশের। নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। এর ফলে ৯ ম্যাচ থেকে মাত্র ২ জয় নিয়ে বিশ্বকাপকে বিদায় জানাল বাংলাদেশ। যা নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে ‘বাজে’ ফলাফল। গতকাল শনিবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। টসে হেরে আগে ব্যাট করে যেখানে ৮ উইকেটে ৩০৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। জবাবে মিচেল মার্শের ১৭৭ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৩২ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপে সব হারালেও এখনো ধরে রেখেছে চ্যাম্পিয়্ন্স ট্রফির আশা। রানরেটের মারপ্যাঁচে শ্রীলঙ্কাকে বিদায় করে দিয়ে সম্ভাবনা ধরে রেখেছে হাথুরাসিংহের শিষ্যরা। এবার শুধু নেদারল্যান্ডস ভারতের কাছে হেরে গেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট কাটবে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতে গেলে অবশ্য আজই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করতো বাংলাদেশ। খানিকটা সম্ভাবনাও জাগিয়ে তুলেছিল অবশ্য। বিশেষ করে লড়াকু পুঁজি পাবার পর বল হাতে শুরুতেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙলে আশার পালে হাওয়া লাগে। তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেটের দেখা পায় টাইগাররা। ট্রাভিস হেডের স্ট্যাম্প ভেঙে প্রথম উপলক্ষ এনে দেন তাসকিন। হেড ফিরেন ১১ বলে ১০ রান করে। তবে সেই চাপ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। সময় যত গড়িয়েছে, ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে শান্তরা। ছিটকে দিয়েছেন মিচেল মার্শ, ডেভিড ওয়ার্নাররা।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মার্শ – ওয়ার্নার মিলে যোগ করেন ১২০ রান। দু’জনেই তুলে নেন ফিফটি। ৫৩ রান করে ওয়ার্নার মোস্তাফিজের শিকার হয়ে ফেরেন ২২.১ ওভারে, দলীয় ১৩২ রানে। তবে এরপর আর পিছে ফিরে তাকায়নি অজিরা। তাকাতে দেননি মিচেল মার্শ। ওয়ার্নার ফিরলেও তাকে ফেরানো সম্ভব হয়নি। সুযোগ পেয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নেন মার্শ। তাকে সঙ্গ দিতে থাকেন চারে নামা স্টিভেন স্মিথ। তাদের যুগলবন্দীতে ১৭৫ রান যোগ হয় মাত্র ১৩৮ বলে। এই জুটি আর ভাঙতে পারেননি তাসকিন-মোস্তাফিজরা। ৪৪.৪ ওভারে জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। শতক তুলে নেয়ার পর আরো বিধ্বংসী হয়ে উঠেন মার্শ। একটা সময় নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ছাপিয়ে যান, পাড়ি দেন দেড় শ’ রানের গণ্ডি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১৩২ বলে ১৭৭ রানে। ১৭ চার ও ৯ ছক্কা ছিল ইনিংস ইনিংসে। স্মিথের ব্যাটে আসে ৬৪ বলে ৬৩ রান। এর আগে পুনেতে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বড় ইনিংসের আক্ষেপে পুড়লেও সম্মিলিত চেষ্টায় সমৃদ্ধ সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। যেখানে সর্বোচ্চ ৭৪ রান আসে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে। বাংলাদেশ পায় ৮ উইকেটে ৩০৬ রানের পুঁজি। আসরে প্রথমবার পাড়ি দেয় তিন শ’ রানের গণ্ডি। শুরুটা করেছিলেন দুই ওপেনার মিলে। বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে উঠে তামিম-লিটনের ব্যাটে। দুজনে ব্যাট করছেন কামিন্স-হ্যাজলউডদের চোখে চোখ রেখে। ফলশ্রুতিতে আসরে প্রথমবারের মতো পঞ্চাশোর্ধ রান আসে উদ্বোধনী জুটি থেকে। সেই সাথে পাওয়ার প্লেতে হারায়নি কোনো উইকেট। তবে দু’জনের কেউ ইনিংস টানতে পারেননি। ভালো শুরু পেয়েও খেই হারিয়েছেন হঠাৎ। বড় ইনিংস খেলতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই ফিরেছেন দু’জনে। তামিমের বিদায়ে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ১১.২ ওভারে দলীয় ৭৬ রানে ফেরেন তিনি। কামিন্সের শর্ট বল বুঝতে না পেরে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তার হাতেই। ৩৪ বলে ৩৬ রানে আউট হন তামিম। সমান ৩৬ রানে ফেরেন লিটন দাসও। ততক্ষণে অবশ্য দলের সংগ্রহ ছুঁয়েছে তিন অংকের ঘর। ১৬.৪ ওভারে ১০৬ রানের মাথায় ফেরেন জাম্পার শিকার হয়ে। তিনে নামা নাজমুল শান্ত ধরে রাখেন ভালো শুরুর ধারাবাহিকতা। তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে গড়ে তোলেন দারুণ যুগলবন্দী। ৬৮ বলের জুটিতে আসে ৬৪ রান। জুট ভাঙে শান্তের বিদায়ে৷ ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ তারও হয়েছে সাথী। ৫৭ বলে ৪৫ রান করে রান আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। অধিনায়কের বিদায় টলাতে পারেনি মনোবল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও হৃদয় মিলে শাসন করতে শুরু করেন অজি বোলারদের। তাদের সময়েই দলের সংগ্রহ ছুঁয়েছে দ্বিশতক। তবে ফের রান আউট দাঁড়ায় বাঁধা হয়ে। কাটা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। ২৮ বলে ৩২ রান আসে তার ব্যাটে। মুশফিকুর রহিমও ইনিংস বড় করতে পারেননি। হৃদয়কে রেখে তিনি ফেরেন ২৪ বলে ২১ রানে। তবে জ্বলে উঠেন মেহেদী মিরাজ। তাওহীদ হৃদয়ের সাথে জোট গড়ে মন দেন রান বাড়ানোতে। হৃদয় ৭৯ বলে ৭৪ করে আউট হলে মিরাজকে তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। মিরাজ আউট হন শেষ ওভারে, ২০ বলে ২৯ রান করে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com