অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এতো বছর পার হয়ে গেলেও দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। গণতন্ত্রের প্রথম যে ধাপ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, তা করতে না পারার কারণে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেনি। গণতন্ত্র হয়ে পড়েছে যখন যে ক্ষমতায় থাকে, তখন তার ইচ্ছার নীতি। এখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নেই। অথচ আমাদের স্বাধীনতার অন্যতম আকাক্সক্ষা ছিল গণতন্ত্র। সত্তুরের নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। নির্বাচনটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। ক্ষমতাসীন সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। সেই সময় সরকারের কাছে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়। সরকার তখন গায়ের জোরে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে দিতে চায়নি। মূলত সেখান থেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল। দেশের মানুষও সেই নির্বাচনী ফলাফল রক্ষা এবং গণতন্ত্র ফিরে পেতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। দেশ স্বাধীন করেছিল। যে সুষ্ঠু নির্বাচন রক্ষা এবং তার মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ত্রিশ লাখ মানুষ শহীদ হলো, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সেই সুষ্ঠু নির্বাচনই অকার্যকর হওয়া শুরু হয়। অদ্যাবধি তা প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলো অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। এরশাদ সরকারের পতনের পর দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, এমন চিন্তা মাথায় রেখে ’৯১ সালে ঐকমত্যের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এই সরকারের অধীনে পরপর চারটি নির্বাচন হয়েছিল। এসব নির্বাচন সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়েছিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগ যে ক্ষমতায়, তার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনের শুরু ২০০৮ সালে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। দলটির প্রথম পাঁচ বছর কাটে এই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে। পরবর্তীতে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতীক হয়ে থাকা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পদ্ধতিটিই আওয়ামী লীগ আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে বাতিল করে দেয়। আবারও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে, যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন।
দুই.
দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সংঘাত ও সংঘর্ষের মূল কারণ, শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করতে না পারা। এর জন্য গণতন্ত্রও দুর্বল হয়ে পড়েছে। পুরোপুরি ভিত্তি লাভ করেনি। ফলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতি সবসময় উত্তপ্ত থাকে। স্থিতিশীল থাকে না। এখনও নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর বিরোধীদলগুলোকে মাঠে নামতে না দিয়ে, কঠোর হস্তে দমন করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখলেও তা ছাইচাপা আগুন হয়ে থাকে। ক্ষণে ক্ষণে তা জ্বলে উঠে। রাজনৈতিক এই স্থিতির অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই সরকার দেশ পরিচালনা করে চলেছে। তবে ক্ষমতাসীনদল মুখে মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও আচরণের দিক থেকে ‘কর্তৃত্ববাদী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, যেখানে গণতন্ত্রের উপাদান বলতে কিছু নেই। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। দেশ ও বিদেশ থেকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের তাকিদ দেয়া হলেও সরকার তা আমলে নিচ্ছে না। এখন আরেকটি জাতীয় নির্বাচন সামনে। সদ্য ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বড় বিরোধীদল বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধীদল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। ক্ষমতাসীনদল বরাবরের মতোই নিজের অধীনে নির্বাচন করতে অটল। এখন তার লক্ষ্য, বিরোধীদলগুলোর দাবি উপেক্ষা করে যেকোনো মূল্যে নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকা। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, দেশ এখন গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে থাকলেও সরকারের সেদিকে মনোযোগ নেই। তার পুরো মনোযোগ যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ তিনবেলা দূরে থাক দুবেলা মানসম্পন্ন খাবার যে খেতে পারছ না, সেদিকে মনোযোগ নেই সরকারের। পরিস্থিতি এখন এমন যে, পেঁয়াজ-মরিচ কিংবা ডাল-ভাত ও আলুর ভর্তা দিয়ে খাওয়ার মতো অবস্থাও অধিকাংশ মানুষের নেই। এসব খাদ্যপণ্যের দাম তাদের নাগালের বাইরে। সামগ্রিক অর্থনীতি খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন রিজার্ভ কমে তলানির দিকে যাচ্ছে, মানুষের আয় কমে গেছে, বেকারত্বের হার দ্রুত বাড়ছে, আমদানি-রফতানি ও রেমিট্যান্স আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা প্রায় একবছর আগ শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যেভাবে রিজার্ভ কমছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এটা কেউ কখনো ভাবেনি, আলু ও লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশকে আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অথচ তাই করতে হচ্ছে। পরিস্থিতি কতটা শোচনীয় হলে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সহজেই অনুমেয় সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট যেন সরকারকে স্পর্শ করে। সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্টের চেয়ে ‘ক্ষমতা’ বেশি মূল্যবান। সবকিছু গোল্লায় যাক, তাতে তার কিছু যায় আসে না। যেভাবেই হোক তাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। এই যে ক্ষমতায় থাকার জন্য চেষ্টা এবং অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের দুর্দশাকে তোয়াক্কা না করা, এ ধরনের মানসিকতা কখনো গণতন্ত্র সমর্থন করে না। দেশের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, যে ক্ষতি হবে, তা ভবিষ্যতে পুষিয়ে নিতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সরকারের কোনো চিন্তাভাবনা নেই। অর্থনীতিবিদরা প্রায়ই বলে থাকেন, সরকার সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের চেয়ে মনুমেন্টাল বা মেকআপ উন্নয়নের দিকে বেশি মনোযোগী। বড় বড় দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প করে উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে দেখাচ্ছে। এগুলো দৃষ্টির তৃষ্ণা মেটালেও সাধারণ মানুষের পেটের ক্ষুধা মেটাতে পারছে না। সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজমান। বলার অপেক্ষা রাখে না, ক্ষুধা ও অভাব কোনো দলমত মানে না। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, দেশে ক্ষুধার্ত জনসংখ্যা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না, মানুষ কতটা কষ্টে আছে। এমনকি ক্ষমতাসীনদলের সাধারণ সমর্থক, যারা দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়, তারাও অভাবের মধ্যে পড়েছে। সরকার সাধারণ মানুষের এই কষ্টকর জীবনযাপন বিবেচনায় নিচ্ছে না। এক্ষেত্রে এ প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দেয়, আসলেই কি সরকার জনগণের? সরকার কি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে? যদি তাই হতো, তাহলে কষ্টে পড়া বিপুল জনগোষ্ঠীর কষ্ট লাঘবে ব্যতিব্যস্ত ও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠত। উল্টো বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, তার এলাকার মেয়েরা তিনবেলা লিপস্টিক দেয়। এর চেয়ে বড় ও নির্মম উপহাস আর কি হতে পারে?
তিন.
এ কথা সার্বজনীন, কোনো দেশের জবাবদিহিতামূলক, দুর্নীতিমুক্ত ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে গণতন্ত্র অপরিহার্য। শুধু উন্নয়ন নয়, মানবিকতা, মানুষের অবারিত মতপ্রকাশ, মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে হলে গণতন্ত্রের বিকল্প নেই। গণতন্ত্র ছাড়া যে উন্নয়ন হয় না, তা নয়। বিশ্বের অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে রাজতন্ত্র কিংবা ব্যক্তি শাসন রয়েছে। সে দেশগুলো বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো উন্নতি করেছে। ব্যক্তিতন্ত্র হলেও দেশগুলো এমনভাবে পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে দুর্নীতি করতে কেউ সাহস পায় না। তাছাড়া দেশগুলো তেল ও খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ায় সাধারণ মানুষকে জীবনযাপন নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে হয় না। সুদীর্ঘকাল থেকে দেশগুলোর শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যই এমন। ফলে এ নিয়ে তাদের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ নেই। তবে যেসব দেশ জনগণের প্রত্যাশা ও আকাক্সক্ষা অনুযায়ী, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ধারণ করেছে, সেসব দেশ যখন গণতন্ত্রের নামে ব্যক্তিতন্ত্র কিংবা কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন সেসব দেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। জনগণের সামনে শাসকরা যখন গণতন্ত্রকে বগলের তলে রেখে উন্নয়নের কথা বলে এবং স্থাপত্যগত কিছু উন্নয়ন করে তা দেখানোর জন্য তুলে ধরে, তখন সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা খুব একটা পায় না। এর কারণ হচ্ছে, এতে সাধারণ মানুষের নৈমিত্তিক জীবনমানের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন পেছনে পড়ে যায়। এমন সাম্প্রতিক উদাহরণ হচ্ছে, শ্রীলঙ্কা। দেশটির বিগত রাজাপাকসে সরকারও স্থাপত্যগত উন্নয়ন করে উন্নতি দেখিয়েছিল। অথচ দেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন করতে পারেনি। দেশটিতে নিত্যপণ্যের দাম জনগণের হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়, মানুষের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়, রিজার্ভ শূন্য হয়ে পড়ে, অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে, উন্নয়নশীল দেশ থেকে দেশটি অনুন্নত দেশের তালিকায় চলে যায়, ফলে গত বছর জনগণের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে এবং রাজাপাকসে সরকারকে বিদায় নিতে হয়। অর্থনীতিবিদরা অনেক আগেই শ্রীলঙ্কার মতো আলামত বাংলাদেশে দেখতে পেয়েছেন। রিজার্ভের ক্রমাগত অবনতি, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠা, মূল্যস্ফীতির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, ডলার সংকট, বিনিয়োগে স্থবিরতা, আমদানি-রফতানি ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়াসহ অর্থনীতির সব সূচকের অবনতি শ্রীলঙ্কার মতো হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশে এখনও শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি, আভ্যন্তরীণ সঞ্চিত অর্থনীতির কারণে। তবে সেই সঞ্চিত অর্থনীতিতে এখন টান ধরেছে এবং তা দ্রুত নিঃশেষ হওয়ার পথে। যতই সময় যাবে, একসময় তা তলানিতে গিয়ে ঠেকবে। আভ্যন্তরীণ এই অর্থনীতির নিঃশেষ হওয়ার প্রক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংকুচিত হওয়ায় দেশ আগামী দিনগুলোতে ভয়াবহ সংকটে পড়বে, তাতে সন্দেহ নেই।
চার.
একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে তার শাসনব্যবস্থার নীতি এবং এই শাসনব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থার ওপর। দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মূলে রয়েছে দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না এমন শাসন, যা স্পষ্ট। এই শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য প্রত্যেকেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রতি জোর দিচ্ছে। এমন একটি নির্বাচনের মাধ্যমেই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন সম্ভব। এতে যদি পুনরায় ক্ষমতাসীনদল ক্ষমতায় আসে, তাতে কারো কোনো আপত্তি ও প্রশ্ন থাকবে না। সমস্যা দেখা দিয়েছে, ক্ষমতাসীনদল তা মানতে নারাজ। সবাই তার শাসনব্যবস্থা এবং দেশ পরিচালনার নীতিতে ত্রুটি দেখলেও সে দেখছে না। ক্ষমতাসীনদল হয়ত, তার মতো করে আরেকটি নির্বাচন করবে, তবে এর ফলাফল যে সুখকর হবে না, তাতে সন্দেহ নেই। বিশেষ করে দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের সাথে যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত এবং যাদের সহায়তা না পেলে অর্থনীতি ভয়াবহ সংকটে পড়বে, তারা বেঁকে বসবে। সব ধরনের সহায়তা সংকুচিত করে দিতে পারে। ইতোমধ্যে দেশের পোশাক আমদানি ওই দেশগুলো কমিয়ে দিয়েছে। এসব আলামত কোনোভাবেই মঙ্গলকর নয়। বলা বাহুল্য, দেশের দুর্বল অর্থনীতি, সুশাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব সর্বোপরি সাধারণ মানুষের জীবনের টানাপড়েন উত্তরণের ক্ষেত্রে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া জরুরি। নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা নিয়ে যে শুধু দেশের মানুষ বলছে তা নয়, বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোও বলছে, যাদের অংশগ্রহণ অর্থনীতি ও উন্নয়নের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। সরকারকে এ বিষয়টি বুঝতে হবে। এটা তো স্বীকৃত যে, আমাদের দেশে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। বর্তমান ক্ষমতাসীনদলও তা প্রমাণ করতে পারেনি। এমতাবস্থায় আরেকটি জবরদস্তিমূলক নির্বাচন হলে দেশের জন্য তা কোনোভাবেই কল্যাণকর হবে না। বিশেষ করে জাতিসংঘসহ, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও পশ্চিমা দেশগুলো যেভাবে মানবাধিকার, সুশাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিপীড়ন করা নিয়ে সরকারের সমালোচনা করছে এবং নেতিবাচক মতামত দিচ্ছে, তা দেশের জন্য অনেকটা অশনি সংকেত।