দেশের জনগণের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, জনগণকে বলব আপনারা এগিয়ে আসুন আমরা কিন্তু আপনাদের জন্য লড়াই করছি। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘রাজবন্দীদের স্বজন’দের আয়োজনে, গায়েবি মামলায় কারাবন্দী বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে প্রধান বিচারপতি বরাবর স্মারকলিপি পেশ শীর্ষক সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। সেলিমা রহমান বলেন, এই সরকার তার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য দেশের জনগণের উপর তা-ব চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ জনগণকে বলব আপনারা এগিয়ে আসুন আমরা কিন্তু আপনাদের জন্যই লড়াই করছি।
তিনি বলেন, এদেশে সুশাসন ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের মানুষ বর্তমানে এক অসহনীয় পরিস্থিতিতে আছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় এই সরকারকে পদত্যাকে বাধ্য করা এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করা।
নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, পুলিশ যাকে গ্রেফতার করতে যায় তাকে না পেলে তার স্বজনদের ধরে নিয়ে যায়। এরা মানুষের কষ্টে আনন্দ পায়। হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার আছে তাদের স্বজনরা একযোগে রাস্তায় এলেই তো হয়ে যায়। এই নির্বাচন নির্বাচন নয় এটা জনগণকে নির্বাসনে পাঠানো। চলুন আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে লড়াই করি দৃঢ় চিত্তে বিজয় ছিনিয়ে আনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারাগারে বন্দী আছে তাদের স্বজনরা বিচার চাইতে এসেছে। ২৮ তারিখের সমাবেশে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা সৃষ্টি করা হয়েছে। মাননীয় প্রধান বিচারপতি স্বৈরাচারী সামরিক শাসন দেখেছেন। আমরা আপনার কাছে বলতে চাই, আদালত একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, জনগণের শেষ ভরসা। আপনি বিচারপতিদের নির্দেশ দেন তারা যেন ন্যায়বিচার করে। আপনার আদালতে যদি ন্যায়বিচার না হয় তাহলে জনগণের আদালতের বিচারে আপনারা কেউ পার পাবেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আ ফ ম ইউসুফ হায়দার বলেন, সরকারকে বলবো এই নির্যাতিত পরিবারের কথা শুনুন। আমার অনুরোধ এবং দাবি এই মিথ্যা মামলায় যাদের জড়িয়ে রেখেছেন তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সাজানো ফরমায়েসি মামলায় গ্রেফতারকৃতদের স্বজনরা মানবিক দাবি নিয়ে এখানে এসেছেন। কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে এটা মেনে নেয়া সম্ভব না। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে দেশে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্য জাতীয়তাবাদি মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়াকে একটা মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তিল তিল করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। স্বাধীন দেশে ভোটের অধিকার চাইতে জাওয়াই কি অপরাধ। এই লড়াই একার লড়াই না লড়াই সমস্ত দেশের মানুষের লড়াই। দেশের গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হলে সম্মিলিতভাবে লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত আছেন- সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ। ইউট্যাব সভাপতি প্রফেসর এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী। বিএনপি নেত্রী আসিফা আশরাফী পাপিয়া। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার। সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ। সাদা দলের সভাপতি প্রফেসর লুৎফর রহমান। জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।