আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’ গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ মিশন’ প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছে। মিশনের প্রধান ও নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আলেকজান্ডার মাতুস মিশনের প্রতিনিধিত্ব করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া দলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন।
ইইউ নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা এবি পার্টি’র উদ্দেশ্য, কর্মসূচি এবং সমস্যা সমাধানমূলক নতুন প্রজন্মের রাজনীতি এবং ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের কারণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এবি পার্টির নেতারা দলের সাংগঠনিক কাঠামো, সারা দেশে কার্যক্রম বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের কারণে নতুন দলের বিস্তৃতির চ্যালেঞ্জগুলি ব্যাখ্যা করেন। সকল শর্ত পুরণ সত্বেও ইসি কর্তৃক এবি পার্টির নিবন্ধন না দেয়ার বিষয়টিও মতবিনময়কালে উত্থাপিত হয়। এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ দলের নিবন্ধনের জন্য হাইকোর্টে দায়েরকৃত রিট পিটিশনের বিষয়েও অবহিত করেন।
প্রতিনিধি দলকে এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ জানান; অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে শুরু থেকেই ইসি বা সরকার কারোরই কোন আগ্রহ ছিলনা। আসন্ন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অভাব নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে আজ অবধি প্রায় ২০ হাজার গণতন্ত্রপন্থী কর্মীকে বেআইনিভাবে আটক করা এবং ছয় শতাধিক শীর্ষ বিরোধী নেতৃত্বকে মিথ্যাভাবে শাস্তি প্রদান করা অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য কোনভাবেই সহায়ক নয় বলে তারা মত প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সৃষ্ঠ ভুঁইফোড় রাজনৈতিক দল ও ডামি প্রার্থী নির্বাচনকে হাস্যকর করে তুলেছে। এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ ইইউ মিশনকে জানান পুলিশের বেআইনী ভূমিকার কারণে গণতান্ত্রিক স্থান ক্রমাগত সঙ্কুচিত হচ্ছে। তারা নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং নাগরিক অস্থিরতা সহিংস হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ জানান।