ইউটিউব বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনার বিনোদনের খোরাক মেটাতে পারেন খুব সহজেই। সিনেমা, গান, নাটক সব কিছুই রয়েছে এখানে। এছাড়া ইউটিউব থেকে অনেকেই মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। ইউটিউবে গত পাঁচ-ছ’বছরে ভ্লগিং বা ভিডিও কনটেন্ট শেয়ার করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন অনেকে। আর তাদের দেখেই সবাই ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি সময় দিচ্ছেন ইউটিউবে।
৫০০০-এর বেশি মানুষ যদি কোনো ইউটিউব চ্যানেল ফলো করেন তাহলে আয় হবে অনেক বেশ। কিন্তু অনেকের চ্যানেল পুরোনো হলেও ফলোয়ার বা সাবস্ক্রাইবার বাড়ছে না মোটেই। ফলে আয়ও হচ্ছে না। এমন যদি আপনার সঙ্গেও হয় তাহলে কয়েকটি উপায় জেনে নিন। যেভাবে আপনি খুব সহজেই আপনার চ্যানেলে ৫ হাজার ফলোয়ার বানাতে পারবেন-
>> কোনো থিম বা বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে চান, সেটা প্রথমেই ভেবে নিতে হবে। তারপর ভাবতে হবে, কাদের জন্য এই কনটেন্ট তৈরি করা হচ্ছে অর্থাৎ ‘টার্গেট অডিয়েন্স’।
>> অন্যের থেকে আলাদা হওয়াই মূলমন্ত্র। উচ্চ মানের এবং বিনোদনমূলক ভিডিও তৈরি করা দরকার। ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করুন।
>> নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন। যাতে দর্শক-শ্রোতাদের আকৃষ্ট করে রাখা যায়। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়।
>> নজরকাড়া চ্যানেল ব্যানার তৈরি করতে হবে। আকর্ষণীয় লোগো ডিজাইন করা দরকার। ভিডিও প্লে-লিস্ট তৈরি করলে আরও ভালভাবে দেখতে পাবেন দর্শকরা।
>> টাইটল, ডেসক্রিপশন, এবং ট্যাগ অপ্টিমাইজেশান:আকর্ষণীয় শিরোনাম, প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড, বিশদ বিবরণ এবং যাতে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়, সেজন্য উপযুক্ত ট্যাগ অপ্টিমাইজ করতে হবে ভিডিও কনটেন্টে। >> কমেন্টে প্রত্যুত্তর দিতে ভুলে গেলে চলবে না। ইনপুট চাইতে হবে। ইউটিউবের অ্যালগরিদমকে বুঝতে দিতে হবে এই কনটেন্ট মূল্যবান।
>> ফলোয়ার বাড়ানোর একটি ভালো কৌশল হচ্ছে ইউটিউবের ভিডিও ক্লিপ, বিহাইন্ড-দ্য-সিন ভিডিও শেয়ার করতে হবে অন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও।
>> অডিয়েন্স ট্যাপ করতে এবং নতুন দর্শকদের সঙ্গে নিজের পরিচয় করে নিতে অন্য ইউটিউবারদের সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।