শেষ ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে ভালো করার জন্য সফলভাবে পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পেরে খুশি বাংলাদেশের নতুন পেস সেনসেশন তানজিম হাসান সাকিব। গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৭ ওভার বল করে ২ মেডেনে ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ৯ উইকেটের জয়ে বড় অবদান রাখেন তানজিম। এই জয়ে শুধুমাত্র হোয়াইটওয়াশই এড়ায়নি বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ওয়ানডে জয়ের স্বাদও নেয় টাইগাররা। নেপিয়ারে বাংলাদেশের জয়ের পর তানজিম বলেন, ‘গত ম্যাচে আমার বোলিং ছিল এলোমেলো। আজ আমার আঁটসাঁট বোলিং করার লক্ষ্য ছিল, আমি সেটিই করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘নিজের পারফরম্যান্সে আমি সত্যিই খুশি। প্রত্যাশানুযায়ী শুরুটা বেশ ভালো ছিল। আমি সত্যিই বোলিং উপভোগ করেছি। বল ভিতরে ঢুকছিল, সিমে পড়ে মুভ করছিল। এটা সত্যিই দলের জন্য সুবিধা করে দিয়েছে।’ বোলিংয়ে দারুণ সুইং প্রদর্শন করেছেন তানজিম। চতুর্থ ওভারে রাচিন রবীন্দ্রকে আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন তিনি। অষ্টম ওভারে হেনরি নিকোলসকে শিকার করে ২২ রানে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটান তানজিম। এরপর ২২ রানে ৩ উইকেট শিকার করে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন শরিফুল ইসলাম। বাজে শুরুর পর আর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ৩ উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকারও। নিউজিল্যান্ডের শেষ উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান। এতে ২০০৭ সালের পর ঘরের মাঠে সর্বনি¤œ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।
জবাবে ২০৯ বল বাকি রেখে ৯৯ রানের টার্গেট স্পর্শ করে ফেলে বাংলাদেশ। বল হাতে রেখে ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় বড় জয়। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২৬ বল এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২২১ বল বাকি জয় পেয়েছিল টাইগাররা। তানজিম বলেন, ‘আমি উইকেট টু উইকেটে বল করে লাইন-লেন্থ ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। বাকি কাজ উইকেট করেছে। এটা সত্যি, উইকেট থেকে সাহায্য পেয়েছি। পেস বোলারদের জন্য এটা ভালো উইকেট ছিল। আমি ঠিক করেছিলাম লাইন ও লেন্থ ঠিক রাখতে হবে এবং সেটি করতে পেরে আমি রোমাি ত।’ সূত্র : বাসস